মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ বছরের পুরনো একটি সন্ত্রাসের মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার (plead guilty) করল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী (JKLF) নেতা মহম্মদ ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। ২০১৭ সালে সন্ত্রাসের ঘটনায় (2017 Terrorism Case) মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২০বি এবং ১২৪এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (criminal conspiracy) এবং দেশদ্রোহিতার (treason) মামলা রুজু হয় মালিকের বিরুদ্ধে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কোনও আইনজীবী ছিল না মালিকের। এমনকী নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেনি মালিক। দিল্লির একটি আদালতের সামনে তিনি সন্ত্রাসবাদী (terrorism) কার্যকলাপে যুক্ত থাকা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে তাঁর যোগসাজশের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। আদালতে মালিক জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে সে আদালতে লড়াই করবে না।
ইয়াসিন ছাড়াও কাশ্মীরের আরও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা যেমন ফারুক আহমেদ দার, শাব্বির শাহ, মাসারত আলম, মহম্মদ ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ, নইম খান, নাভাল কিশোর কাপুর, বশির আহমেদ ভাটদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে এই আদালত। গত মার্চ মাসে চার্জগঠনের সময় আদালত প্রাথমিক তদন্তে জানায় শাব্বির শাহ, ইয়াসিন মালিক, রশিদ ইঞ্জিনিয়ার, আলতাফ ফান্টুশ-সহ হুরিয়ত নেতৃত্ব সরাসরি সন্ত্রাস কার্যকলাপে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল তারা। উপত্যকায় বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে এরা। যার ফলে হিংসা-অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
আদালত জানিয়েছে, মালিক গোটা বিশ্বে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত। সেই টাকা দিয়ে ভূস্বর্গে হিংসা-হানাহানি, বিক্ষোভ এবং বেআইনি কার্যকলাপ করা হত। সেই অপরাধমূলক কার্যকলাপকে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম দিয়েছিল ইয়াসিন মালিক, এমনটাই দাবি আদালতের। বিশেষ আদালতের বিচারক প্রবীন সিং মামলাটি আবার ১৯ মে শুনবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সাজা ঘোষণা করা হতে পারে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাবাস।
+ There are no comments
Add yours