মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লকডাউন তো কবেই উঠে গেছে, কোভিডও (Covid 19) চলে গেছে, সংক্রমণ এড়াতে নিজেদের ঘরবন্দি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেননা কোনও চিকিৎসক। তবে গুরগাঁওতে মরকতকুঞ্জের বাড়িতে গত তিন বছর ধরে নিজের ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘরবন্দি ছিলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার তাঁকে বের করতে নামতে হল খোদ পুলিশ কর্তাদের। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ টিম, স্বাস্থ্য দফতরের টিম, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের টিমও গিয়েছিল এলাকায়। এরপর তারা বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙে ফেলে। সেই দরজা ভেঙে তারা দুজনকে উদ্ধার করে।
মহিলার পরিচয় কী
জানা গেছে ওই মহিলার নাম মুনমুন মাঝি। স্বামী সুজন মাঝিরও ঘরে প্রবেশের অনুমতি ছিলনা। ২০২০ সালে তিনি যখন অফিসে যাওয়া শুরু করেন তারপর থেকে আর বাড়ি ঢোকার অধিকার তাঁর ছিল না। সুজনবাবু পেশায় একটি বেসরকারি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
গত তিনবছর ধরে ওই মহিলার স্বামীকে থাকতে হয়েছে ভাড়াবাড়িতে
প্রথম দিকে তিনি বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়দের বাড়িতে থাকতেন। এরপর তিনি স্থানীয় এলাকাতেই ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন। স্ত্রীকে তিনি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি কারোর কথা শোনেননি। এরপর থেকে ভিডিও কলে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। প্রথম প্রথম সুজন স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বার বার বলেন ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে। এরপর তিনি শ্বশুরবাড়িতেও জানান। তারাও অনুরোধ করেন। কিন্তু কারোর কথা শুনতে চাননি মুনমুন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দারস্থ হন সুজন। কিন্তু পুলিশ প্রথমে ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেয়নি। তবে তার স্বামী জানান, তিনটে বছর আমি সন্তানের মুখ দেখিনি। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
বাচ্চাদের কোভিডের (Covid 19) টিকা না আসা অবধি তিনি ঘরেই থাকবেন এই ছিল ওই মহিলার পণ
সন্তানের কোভিড (Covid 19) টিকা না আসা পর্যন্ত তিনি ঘর থেকে বাচ্চাকে নিয়ে বের হবেন না, এটআই বলতেন মুনমুনদেবী। এদিকে ১২ বছরের নীচে এখনও কোনও টিকা নেই। তার সন্তানের বয়স ১০ বছর। কিন্তু তার সন্তান কোভিডে (Covid 19) যাতে আক্রান্ত না হয় সেকারণে তিনি সব ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
কী বলছে পুলিশ
স্থানীয় থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রবীণ কুমার বলেন, ‘‘আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, প্রথমে আমি ব্যাপারটিকে খুব একটা পাত্তা দিইনি। কিন্তু পরে বুঝলাম যে, ভদ্রলোক সত্যিই সমস্যায় পড়েছেন, আমি সমস্ত সহায়তা করি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours