মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর আধার কার্ডের তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না সাত পাকে বাঁধা পড়া স্ত্রীও। তাৎপর্যপূর্ণ এই রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Landmark Judgement)। সে রাজ্যের একটি মামলায় বিবাহ-বিচ্ছিন্ন স্বামীর আধারের নম্বর এবং ফোন নম্বর সমেত অন্যান্য ডিটেইলস চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী। তথ্য জানার অধিকার আইনে (২০০৫) স্বামীর আধার নম্বর চান তিনি। কারণ হিসেবে স্ত্রী জানান যে আধার তথ্য ছাড়া নিম্ন কোর্টে তাঁর (স্বামীর) বিরুদ্ধে ভরণপোষণের মামলা (Landmark Judgement) লড়তে অসুবিধা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার অধিকার, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার
প্রাক্তন স্ত্রীর করা এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে 'রাইট টু প্রাইভেসি'-এর। ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আবার তথ্য জানার অধিকার আইনেও (২০০৫) ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যায় না। আরটিআই অ্যাক্ট-এর ৮ নম্বর ধারায় তা উল্লেখ রয়েছে। কর্নাটকের উচ্চ আদালতের (Landmark Judgement) স্পষ্ট বক্তব্য যে বৈবাহিক অধিকারের ভিত্তিতেই কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীর আধার তথ্য পেতে পারেন না।
ফ্যামিলি কোর্টে চলছে ডিভোর্সের মামলা
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০৫ সালে। বিবাহ বিচ্ছিন্ন দম্পতির একটি মেয়েও রয়েছে। সংসারে বনিবনা না হওয়াতেই স্ত্রী বিচ্ছেদের মামলা করেন। ফ্যামিলি কোর্টে বর্তমানে মামলা চলছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী ভরণপোষণের জন্য দশ হাজার টাকা দাবি করেন এবং কন্যাসন্তানের জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকা। মোট পনেরো হাজার টাকা ভরণপোষণ বাবদ চাওয়া হয়। কিন্তু স্বামী কী করছেন বর্তমানে? কোথায় রয়েছেন? এসব কিছু জানতে না পারার জন্য ফ্যামিলি কোর্টের (Landmark Judgement) নাকি নির্দেশ দিতে অসুবিধা হচ্ছে! এরপরেই স্বামীর আধার নম্বর পেতে 'আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া'র দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে ইউআইডিএআই। এরপরই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours