মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) দু'দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে গ্রেফতারির আগে এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ আর এই তথ্য সামনে আসতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি ৷ তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাই চলে যেত টাকা। সেই লিঙ্কই এখন খুঁজছে ইডি। বালু ও শঙ্করের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে কি ভূমিকা নিতেন বিশ্বজিৎ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। পাশাপাশি ইডি-র আরও সন্দেহ এ রাজ্যের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সে দেশের (বাংলাদেশ) ব্যবসায়ীরাও (Ration Scam) যুক্ত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, বালুর ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে গিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।
মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি
মঙ্গলবার বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি (Ration Scam) অভিযান চালায় ইডি। এর পাশাপাশি অভিযান হয়েছিল বড়বাজারের আর একটি স্থানেও। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ইডি। নথিপত্র ঘেঁটে ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে যে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন তা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। আর তাতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। রেশন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যোগ ছিল কিনা তা এবার খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷
হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট বিশ্বজিৎ বাড়িতে
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) বিশ্বজিৎ দাসের হাওয়ালা যোগ আদালতে আগেই জানিয়েছিল ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ বাড়ি ও অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট। বাড়িতে ইডি হানার খবর পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ থেকে কলকাতা উড়ে আসেন বিশ্বজিৎ। দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিশ্বজিৎ-কে। তারপরেই আটক করা হয় তাঁকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours