মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি ভাড়ায় (House on Rent) নিয়ে অনেকেই থাকেন। আবার অনেকেই নিজের বাড়ি ভাড়াও দেন। আগে মুখের কথায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলেও, এখন বাড়ি ভাড়ার চুক্তি (Agreement) আবশ্যিক। ভবিষ্যতে কোনওরকম অশান্তি এড়িয়ে যেতে এখন সকলেই চুক্তি করিয়ে রাখেন। এর ফলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন বাড়ির মালিক, ভাড়াটে দুজনেই।
এরকম বহু ঘটনা রয়েছে ইতিহাসে। যেখানে ভাড়াটেকে ওঠাতে কালঘাম ছুটেছে বাড়িওলার। বিগত ৫০ বছর ধরে একই ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন ভাড়াটে, এরম উদাহরণও নেহাত কম নেই। আবার বহু বছর একই ভাড়াটে রেখে দেওয়ায় তাঁকে সম্পত্তির অংশ দিতে হয়েছে এমন ঘটনাও ভুরি ভুরি। তাই চুক্তি করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?
ভারতে সাধারণত ১১ মাসের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করা হয়। কখনও ভেবে দেখেছেন এই চুক্তি ১১ মাসেরই কেন! বেশি বা কম নেয় কেন?
১১ মাসের চুক্তি করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
১। এর একটি বড় কারণ হল, ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৯০৮- এর সেকশন ১৭ (ডি) অনুযায়ী, এক বছরের কম কোনও বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করলে আলাদা করে রেজকিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন পড়ে না। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ মেয়াদী এবং জটিল। ফলে বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটে কাউকেই এই ঝামেলার মধ্যে যেতে হয় না।
২। ১১ মাসের চুক্তি থাকলে ভাড়াটে- বাড়িওয়ালার মধ্যে কোনও আইনি লড়াই হলে জটিলতা এড়ানো যায়। কারণ বাড়িওয়ালার কাছে ১১ মাসের চুক্তির প্রমাণ থাকে। ফলে ভাড়াটের সেই সম্পত্তিতে কোনও অধিকারের প্রশ্নই ওঠে না।
আরও পড়ুন: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার
৩। রেজিস্ট্রেশন করতে হয় না বলে রেজিস্ট্রেশন ফি থেকেও বেঁচে যান বাড়ির মালিক- ভাড়াটে উভয়েই।
৪। এক বছরের কম সময়ের বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির টাকাও অনেকটাই কমে আসে।
শুধুমাত্র মুম্বাইতেই ৫ বছরের জন্যে বাড়ি লিজ দেওয়ার চল রয়েছে। দিল্লি বা বাংলার মতো দেশের বহু রাজ্যেই ১১ মাসের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করা হয়। দেশের বাইরেও দীর্ঘ দিনের বাড়ি ভাড়ার চুক্তির রেওয়াজ উঠে গিয়েছে। চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও যদি কোনও ভাড়াটে থেকে যান, তাহলে ধরে হয় যে সে জোর করে আছেন বা পুনরায় চুক্তি করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours