মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করলেন হু (WHO) প্রধান ডাঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। মার্চ মাসের দিকে গোটা বিশ্বজুড়ে কমতে শুরু করেছিল করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। অতিমারীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এখনই নিষ্কৃতি দিচ্ছে না করোনা। এমনটাই জানিয়েছেন হু প্রধান। উল্টে বিশ্বের একাধিক জায়গায় সংক্রমণ বাড়বে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু
ডাঃ ঘেব্রেইসাস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীকে আরও একবার সাবধান করে বলেছেন যে, দুবছর অতিক্রান্ত হলেও করোনা ভাইরাসের একের পর এক নয়া স্ট্রেনের দাপটে সারা বিশ্বেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে যা নতুন করে এই ভাইরাসকে নিয়ে ভাবাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের
হু প্রধান বলেন, “ভারত সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন! কোভিডের সংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের যে ভাবেই হোক আটকাতে হবে তা না হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর ফের চাপ আসতে শুরু করবে। গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও যা নিয়ে নতুন করে সারা বিশ্বের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে”।
তিনি আরও বলেন, "যে সকল দেশে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সেই সকল দেশের সরকারের উচিত পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কোভিড আক্রান্তদের খুঁজে বের করা। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টিকাহীনদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা। আমরা আগের থেকে বর্তমানে অনেক ভাল আছি আমাদের প্রত্যেকের টিকা নেওয়া এবং কোভিড বিধি মেনে চলা উচিৎ।"
BA.4 এবং BA.5 ভ্যারিয়েন্টের প্রসঙ্গে হু প্রধান এদিন বলেন, "এই দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। টিকাহীনদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের টিকার আওতায় আনা উচিত।"
গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। প্রত্যেকদিনই কার্যত দেশজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা ১৫ হাজারের উপরে। যা দেখে উদ্বিগ্ন দেশের চিকিৎসকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে চতুর্থ ঢেউয়ের কথা বলা হয়নি।
+ There are no comments
Add yours