মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাদের উপরে ৬০০ টাকা খাজনা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জামিদার। গত ৬৫ বছর ধরে হাইকোর্টে মামলা চলছিল। রায় প্রদানে জমিদারের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখলেন বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। মামলার (Tenancy Act) রায়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এখানেই যে, বিচারতি যে মামলার রায় দিয়েছেন, সেই মামলা যখন শুরু হয়েছিল, সেই সময় জন্মাননি তিনি। বিচারপতির রায়দান করতে গিয়ে এই কথা বলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মামালা কেন গুরুত্ব পূর্ণ (Tenancy Act)
বিচারপতির রায়দান (Tenancy Act) প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য মামলা যখন শুরু হয়েছিল, সেই সময় বিচারপতি স্বয়ং জন্মগ্রহণ করেননি। আর এই রকম একটি মামলার রায় দেওয়ায় নিজেই আশ্চর্য হয়েছেন। বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় নিজে বলেন, “এই মামলা শুরু হওয়ার সময় আমার তো জন্মই হয়নি।”
যদিও ১৯৫৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিশেষ আইন পাশ হওয়ার ফলে জমিদারি প্রথাকে অনেকটাই সংকুচিত হয়েছিল। কোনও ব্যক্তির যদি ২৪ একরের বেশি জমি থাকে, তাহলে তা সরকারি খাস জমি বলে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল সেই সময় থেকেই।
মামলা কী ছিল?
সূত্রে জানা গেছে, মামলা (Tenancy Act) হল বীরভূমের রামপুরহাটের আজ থেকে ৬৫ বছরের আগেকার জমিদার আমলের একটি মামলা। জমিদার এই এলাকার স্থানীয় প্রজাদের উপর তৎকালীন ৬০০ টাকা খাজনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে এই চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রজাদের মধ্যে অনেকেই আপত্তি করেছিলেন। এরপর রামপুরহাট জেলা আদালতে মামলা করলে প্রজারা প্রাথমিকভাবে জয়ী হন। কিন্তু পরে জমিদার বাড়ির পক্ষ থেকে আবার জেলা আদালতে আবেদন করলে, সেই সময় মামলায় জয়লাভ করেন জমিদার পক্ষ। এরপর ১৯৫৯ সালে জমিদারের পক্ষের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রজারা। এরপর থেকে দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও যাঁরা যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। হাইকোর্ট এরপরে ১৮১৭ সালের ব্রিটিশ আমলের ‘টেনেন্সি আইন’ (Tenancy Act) অনুসারে খাজনা নিয়ে মামলার যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে রায় দেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours