Hong Kong Flu: কোভিডের পর নয়া আতঙ্ক হংকং ফ্লু! কী এর উপসর্গ? কী জানাল আইসিএমআর?

Hong Kong Flu: শিশু না বড়রা, কাদের জন্য বেশি ক্ষতিকারক এই ভাইরাস?
hongkong_flu
hongkong_flu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের পর এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu)। দেশ জুড়ে এই ভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই উপরূপ এইচ৩এন২ (H3N2)। এই ভাইরাসের সংক্রমণে যে জ্বর হচ্ছে তার নামই হংকং ফ্লু। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দেশ জুড়ে বেড়েছে ভাইরাল ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অনেকে। জ্বর সারলেও কাশি, গলা খুসখুস থেকেই যাচ্ছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি।

কী এই হংকং ফ্লু?

ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ এইচ৩এন২ কে 'হংকং ফ্লু' (Hong Kong Flu) বলা হয়। এই ভাইরাস আক্রান্তের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। সাধারণভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জাকে এ, বি, সি, ডি এই চারভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি সাধারণভাবে এর জন্য দায়ী। এইচ৩এন২ হল ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-এর একটি সাবটাইপ। এই ভাইরাসের প্রভাবে যে ফ্লু হয়, তাকে বলা হয় ‘হংকং ফ্লু’।

কী এর উপসর্গ?

গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর, সর্দি কিংবা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা ব্যথা, মাথা ব্যথার ক্লান্তি অনুভূত হওয়া এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির বমি কিংবা ডায়েরিয়াও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণভাবে একসপ্তাহ সময় লাগে এর থেকে সুস্থ হতে। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লেগে যাচ্ছে। তবে কারও কারও এর থেকে বেশিই সময় লাগছে।

আরও পড়ুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

আইসিএমআর-এর তরফে কী বলা হল?

এই ভাইরাস (Hong Kong Flu) নিয়ে সতর্ক করল আইসিএমআর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, জ্বর, কাশি, শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। অন্তত মাস দুয়েক থাকছে উপসর্গ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের এইচ৩এন২-এর প্রকোপে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবে, তা হল- বারে বারে হাত ধুতে হবে, সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতেই হবে। ফেস মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। বারে বারে নাকে ও মুখে হাত দেবেন না। হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে নিন। ধূম জ্বর, শুকনো কাশি, গায়ে ব্যথা বা হাল্কা শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।

আবার হাত মিলিয়ে হ্যান্ডশেক করা বা কোলাকুলি করবেন না। জনবহুল জায়গায় থুতু ফেলবেন না। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না, উপসর্গ বুঝলে ডাক্তার দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসায় থাকুন। বেশি ভিড়ে যাবেন না, বাসে বা গণপরিবহনে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসা বা রেস্তোরাঁ ভিড় থাকলে সেখানে গিয়ে খাওয়া ঠিক হবে না।

শিশু না বড়রা, কাদের জন্যবেশি ক্ষতিকারক এই ভাইরাস?

ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় শিশুদের ক্ষেত্রে। বড়রা নানা রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলেও ছোটদের এই সব নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করানো খুব কঠিন। তার উপর অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা মুশকিল হয়। চিকিৎসকদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ফ্লুয়ে আক্রান্তের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ সময়ে শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles