মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) পূর্ব বর্ধমানের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ততই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৫ মিনিটের ওপর লাইভ করে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলি এলাকার বিধায়ককে প্রকাশ্যে নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানান, এরপর হয়তো তাঁকে গাঁজার কেস দিয়ে জেলে ঢোকাতেও পারেন বিধায়ক। পাশাপাশি তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন। স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এইভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে উপপ্রধানের নানারকম বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলকে।
কেন এই বিতর্ক?
গত কয়েকদিন ধরে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায়শই বিতর্ক দানা বাঁধছে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলির। পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ বিনা টেন্ডারে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় কালনা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই এই বিতর্কের সৃষ্টি।
কী বলেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান?
শুক্র এবং শনি, পরপর দুদিন ফেসবুক লাইভে আসার পর পঙ্কজ গাঙ্গুলি আজও ফেসবুক লাইভে এসে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক (TMC) তপন চট্টোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করেন। পাশাপাশি পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানালেন, দুমাস আগে তাঁর সিকিউরিটি ছিল। সেগুলি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে তুলে নেন। ফলে যে কোনও সময় তাঁর ওপর আক্রমণ হতে পারে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের জেলা সভাপতির?
এই সমস্যার কথা জেলা সভাপতি (TMC) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জানাতে তিনি বলেন , উপপ্রধানের উচিত হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম বক্তব্য রাখা। যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে দলকে জানাতে পারতেন।
আক্রমণে বিজেপি
অপরদিকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশে আসতেই আক্রমণ হেনেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাটোয়া জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়।। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আগে বিজেপির কর্মীদের বহুবার গাঁজার কেস দিয়ে জেলে দিয়েছে। এবার খোদ উপপ্রধানকে এই কেস দিলে দিতেও পারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours