মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন, বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলা। যখন তখন গুলি-বোমা নিয়ে হামলা, ধর্ষণ করে খুন ইত্যাদি ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার কলকাতার কাছেই প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হল। ফলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের জায়গাটা আরও একবার সামনে চলে এল। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Titagarh Shoot-out) ঝাঁঝরা হয়ে গেল শরীর। ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার জি সি রোড নয়াবস্তি এলাকায়। এটি বারাকপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। নিহতের নাম আনোয়ার আলি (৫০)। তৃণমূলের দাবি, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী। রাজনৈতিক নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁকে গুলি করে খুন করা হল, সে ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব কিছু জানায়নি। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস ওই কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতলে। সেখানে তিনি বলেন, কী কারণে এই গুলি, তা তাঁরা এখনও জানতে পারেননি। পুলিশকে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এসেছিল মোটরবাইকে। আনোয়ারকে গুলি করেই তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।
এলাকায় চাঞ্চল্য, আতঙ্ক
ভর দুপুরে প্রকাশ্যে রাস্তায় এইভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ (Titagarh Shoot-out) হওয়ার পর ওই তৃণমূল কর্মীকে বারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে শেষ রক্ষা হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা ছিল। একই সঙ্গে তিনি সমাজসেবার নানা কাজেও যুক্ত ছিলেন। আনোয়ার আলির এক বন্ধু জানান, ওর ডাক নাম ছিল গুড্ডু। এখানে একটা সাইবার ক্যাফে ছিল। জমিজমার ব্যবসাও করত। সাড়ে ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ভালো ছেলে ছিল বলেই তিনি জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours