মাধ্যম নিউজ: সামান্য মোবাইলের দোকান চালাতেন! শাসক দলের রাজনীতির সৌজন্যে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন তৃনমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Bandopadhyay)। নিয়োগ দুর্নীতিতে আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর মধ্যেই উঠে এল শান্তনুর (Santanu Bandopadhyay) লাগামছাড়া সন্ত্রাসের কথা। তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পরে যুব তৃনমূলের সঙ্গে আরও একটি সংগঠন সমান্তরালভাবে কাজ শুরু করে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলা ওই সংগঠনের নাম ছিল তৃণমূল যুবা। বর্তমানে যা অস্ত্বিত্বহীন। এই তৃণমূল যুবার নেতা ছিলেন শান্তনু। সেখান থেকে হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। বছর পাঁচেক আগে তারকেশ্বর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জিতে জেলা পরিষদের আসন পাকা করেন শান্তনু। কিন্তু কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ভোটে জিতলেন! তবে কি কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি? নাকি কাউকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি?
বিরোধীরা বলছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও মাথায় বন্দুক ধরে তাঁদের মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করেন শান্তনু। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সমেত বাকি বিরোধী দলগুলির। এমনকি শাসক দলের লোকেরাও তাঁর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।
কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী সুনীল পাঁজা
২০১৮ সালে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া সুনীল পাঁজা জানিয়েছেন, ভোটের আগে শান্তনুর (Santanu Bandopadhyay) গুন্ডাবাহিনী তাঁর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। বাড়ির ভেতরে তাঁর দুই বাচ্চার সামনে মাথায় বন্দুক ধরে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখায় শান্তনু ও তার গুন্ডা বাহিনী। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি অবধি দেয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তারকেশ্বর ৩৪ নম্বর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শান্তনু। ওই বছরে সারা রাজ্য জুড়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। এখন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার তিনি। শান্তনু গ্রেফতার হতেই একের পর এক বিতর্কিত তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours