মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, সেই তিনি অভিযোগ করছেন, রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, তাঁর পায়ে ভুল চিকিৎসা হওয়ার ফলে সেপটিক হয়ে যায়। ভুল চিকিৎসার কথা বললেও মমতা কোনও হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করেননি। তবে এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চিকিৎসা এসএসকেএম-এ হয়েছিল। তাই মমতার মন্তব্যের পরই জল্পনা শুরু হয়। রাজ্যবাসীর মতে, এর থেকেই প্রমাণিত, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালের কী হাল। তার ফল, হাতেনাতে পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই যদি ভুল চিকিৎসা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
স্পেনের শিল্প সফর সেরে ফিরে আসার পর অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন নবান্নে যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাড়ি থেকে সামলাচ্ছিলেন যাবতীয় প্রশাসনিক দায়িত্ব। পুজোর ছুটি কাটিয়ে প্রায় দেড় মাস পর মঙ্গলবার নবান্নে আসেন মমতা। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার নিজের অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে ভুল চিকিৎসার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। মমতা বলেন, 'অনেকে বলছেন আমি ৫৫ দিন নবান্নে আসিনি। এটা ভুল তথ্য। বাড়ি থেকে পুজো উদ্বোধন করেছি, মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছি। সব কাজ সেরেছি।'মমতা আরও বলেন, '১০-১২ দিন আমার চিকিৎসা চলেছে। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার পায়ের আঘাতে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। ১০ দিন স্যালাইনের মতো আমার হাতে চ্যানেল করা ছিল, ওষুধ চলেছে। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি।'
আরও পড়ুুন: রামমূর্তির অধিষ্ঠান হবে সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনে, তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে
উল্লেখ্য, রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে যখন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) স্পেন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই পায়ে চোট লেগেছিল। এর আগে উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টার বিভ্রাটে পায়ের যেখানে চোট লেগেছিল, সেই জায়গাতেই আবার পা হড়কে গিয়ে চোট লাগে স্পেন সফরে। সেই নিয়েই টানা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পর কলকাতায় ফিরে সোজা তিনি গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার এক অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হল এসএসকেএম হাসপাতাল। সেই হাসপাতালে যদি রাজ্যের প্রধানেরই এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবেন এই প্রশ্নই ঘুরছে সকলের মনে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours