Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে বইছে।
Arambagh
Arambagh

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আরামবাগে (Arambagh) খোঁজ মিলল কানা দ্বারকেশর নদীর। সার্ভে করে নদীর চূড়ান্ত পর্যায়ের মাপজোকের পর আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টে মিলল এর অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রবল উৎসাহিত।

নদীর প্রবাহ কেমন ছিল?

আরামবাগ (Arambagh) শহরের বাইশ মাইল এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদী থেকে শাখা নদীটি বেরিয়েছে, এলাকায় যা কানা দ্বারকেশ্বর নামে পরিচিত। কানা দ্বারকেশ্বরের বুক দিয়ে একসময় বইতো বিপুল জলরাশি। যার স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গিয়েছে নদীর চরা পড়া জমিতে। বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে বইছে। শহরের ভিতর খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। খালটির উৎসমুখ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঁটার মোড়ে। শহরের ভিতর একাধিক জায়গায় খালের প্রবাহপথ কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে। যার সন্ধানেই শুরু হয় সার্ভের কাজ। শহর থেকে বেরিয়ে খালটি মিলেছে মলয়পুর খালে। সেই খাল খানাকুলের অরোরা খালে এবং তারপরে রূপনারায়ণ নদে মিশেছে। প্রসঙ্গত, কানা দ্বারকেশ্বর এখন মৃতপ্রায়। এলাকায় জবরদখলের সঙ্গে নোংরা ও কচুরিপানা জমে নদীর প্রবাহ এখন বর্তমানে অবরুদ্ধ। গতিপথের সন্ধানে সার্ভের কাজে নামে মহকুমা সেচ দফতর ও পুরপ্রশাসন।

উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা

কয়েকমাস আগে থেকে আরামবাগে (Arambagh) সার্ভের কাজ শুরু করে মহকুমা প্রশাসন। বুধবার আরামবাগ পুর প্রশাসন, আরামবাগ মহকুমার ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক, আরামবাগ চাঁদুর ফরেস্টের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় চাঁদুর ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকা ও ফরেস্টের ভিতরের কিছু অংশে। চুড়ান্ত পর্যায়ে নদীর মাপ হয় চাঁদুর ফরেস্ট অঞ্চল এবং তেলিপাড়া মৌজায়। ১৯৩৩ সালে এই দুটি মৌজা থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে দ্বারকেশ্বর নদী। আরামবাগ পুর প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার, আরামবাগ ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও ফরেস্টের একজন আধিকারিক উপস্থিত থেকে চূড়ান্তভাবে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্বকে চিহ্নিতকরণ করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

এই বিষয়ে আরামবাগ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার বলেন, ফরেস্টের পাশে দ্বারকেশ্বর নদীর যে কানা খালটি আছে, তা কেউ জানতো না। এই খালটি আমাদের পুরসভার যে হেলথ সেকশন আছে, তারপর থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। খালটি ১৯৩৩ সালের ম্যাপ অনুযায়ী কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত কেউ জানতো না। আমাদের কাজ কানানদীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করা। সেই অনুযায়ী এদিন চূড়ান্তভাবে কানানদীর গতিপথ চিহ্নিত করা হল। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার ও সেচ দফতরের। অপরদিকে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম। একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আরামবাগ পুর প্রশাসন রিপোর্ট দিলে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে। আরামবাগ (Arambagh) মাস্টার প্লানের অন্তর্ভুক্ত এই শাখা নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হলে উপকৃত হবেন আরামবাগ শহর এবং গোটা মহকুমার লক্ষাধিক মানুষ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles