Vidyalaxmi Scheme: উচ্চশিক্ষায় ১ লক্ষ মেধাবী পড়ুয়াকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ, বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প আনল কেন্দ্র

PM Modi: মেধাবীদের শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা দূর করাই লক্ষ্য বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের...
parliament_-_2024-11-06T175022358
parliament_-_2024-11-06T175022358

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প (Vidyalaxmi Scheme)। এই কর্মসূচিতে মূলত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক ঋণ দেবে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাশাপাশি, পড়ুয়ারা বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রে শিক্ষাগ্রহণে আর্থিক সহায়তা পাবে। ভারত হোক অথবা বিদেশ, কোনও বিশেষ বিষয় নিয় উচ্চ শিক্ষা করতে যাওয়া মানেই তা একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার জন্য অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সমর্থন করার জন্য আর্থিক ভাবে ততটাও সক্ষম নন। কেন্দ্রীয় সরকার সেই জায়গাতেই ছাত্রছাত্রীর সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের ঘোষণা করেছে। এর জন্য সরকারের বরাদ্দ ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ থেকে ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৭ লক্ষ নতুন ছাত্রছাত্রীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে চাইছে সরকার।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের ঘোষণা

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক (Vidyalaxmi Scheme) থেকে মিলবে এডুকেশন লোন। প্রায় ৭০টি বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি থাকবে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের আওতায়। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে ঋণ পেতে গেলে কোনও জামিনদার বা গ্যারেন্টার লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্য, কোনও মেধাবী পড়ুয়া যাতে বঞ্চিত না হন।’’ অর্থ মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের অধীনে আগ্রহী এবং যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষা ঋণ দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছে। প্রার্থীরা এই ঋণ প্রকল্পগুলির জন্য আবেদন করতে সরাসরি নিজেরাই বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের পোর্টালে লগ ইন করতে পারেন। 

বিদ্যা লক্ষ্মী এডুকেশন লোনের মূল বৈশিষ্ট্য:

১) শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করা। পোর্টাল ভিত্তিক বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে ইচ্ছুক কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এমন সমস্ত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে চায়৷ ফলে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত হবে ছেলেমেয়েরা।

২) ঋণ এবং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে সক্ষম হওয়া। অ্যাকাডেমিক কোর্সের জন্য আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ঋণ বা সরকারি স্পনসরড স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে সহজে।

৩) নানা ধরনের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এই বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের পোর্টালের সহায়তায় আগ্রহী প্রার্থীরা নানা ধরনের কোর্সের অধীনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবে। প্রায় ৭০টি বিভিন্ন স্কিম এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে।

৪) একটি মাত্র আবেদনপত্রেই হবে কাজ। আবেদনকারী প্রার্থীরা শুধু মাত্র একটি ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট ঋণ বা বৃত্তি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সাধারণ শিক্ষাগত ঋণের আবেদনপত্র বা সিইএলএএফ হল আবেদনপত্রের ধরন।

৫) প্রত্যেক শিক্ষার্থী সাধারণ আবেদনপত্রের সহায়তায় সর্বাধিক তিনটি ব্যাঙ্কে আবেদন করতে সক্ষম হবেন। ব্যাঙ্কের পছন্দ প্রার্থীর পছন্দের উপর নির্ভর করবে।

৬) আবেদনের হার্ড কপির প্রয়োজনীয়তা নেই। যখন আগ্রহী প্রার্থীরা বিদ্যা লক্ষ্মী এডুকেশন লোনের এই অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে কোনও ব্যাঙ্কে ঋণ সংক্রান্ত কোনও আবেদন করেন, তখন ব্যাঙ্কগুলিতে সেই আবেদনপত্রের হার্ড কপি জমা দেওয়ার দরকার নেই। ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য এটি বরং সহজ ভাবে ডাউনলোড করে কম্পিউটারে, ট্যাবে বা মোবাইলে রেখে দেওয়া যেতে পারে।

৭) ব্যাঙ্ক এবং ঋণ প্রকল্প সম্পর্কে বিশদ তথ্য ছাড়াও শিক্ষার্থীরা সরকারি বৃত্তি কর্মসূচি সম্পর্কেও নানা ধরনের তথ্য পাবেন। কারণ সরকারি বৃত্তি পোর্টালগুলি বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত।

৮) আবেদনকারীর ফর্মের বর্তমান অবস্থা বা স্টেটাস সম্পর্কে আবেদনকারীদের অবহিত রাখা প্রতিটি ব্যাঙ্কের দায়িত্ব৷ এই বিশদ বিবরণ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী শুধু মাত্র লগ ইন করার মাধ্যমে অর্জন করতে পারেন বা জানতে পারেন।

৯) উপরে উল্লিখিত এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও, প্রার্থীরা যে কোনও রকমের সমস্যা এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য এই পোর্টালেই রেজিস্টার করার সুযোগ পাবেন।

১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ

প্রতি বছর সর্বোচ্চ এক লক্ষ শিক্ষার্থী এই প্রকল্পে ঋণ পাবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ‘‘আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক পারিবারিক আয়ের একজন পড়ুয়া ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ পাবেন পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পে (Vidyalaxmi Scheme)। সুদের হার হবে ৩ শতাংশ।’’ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে বার্ষিক সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের পরিবারের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রীয় ঋণ পেতেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles