মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই সময়, যখন হিন্দু (Hindu) মন্দিরগুলিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। দিন কয়েক আগে এ কথা বলেছিলেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের (VHP) কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ওই কথা বলেছিলেন তিনি। অলোক কুমার বলেছিলেন, আচার্য সভা আমাদের যে ডেটা দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ভারত জুড়ে দু লাখের বেশি মন্দির সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই মন্দিরগুলি ফি বছর সরকারকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দেয়। তাঁর প্রশ্ন, সরকার যদি মসজিদ, চার্চ এবং গুরুদ্বারকে নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে কেন মন্দিরকে? বিশ্বহিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যে আলাদা একটি মন্ত্রক এবং দফতর তৈরি করা প্রয়োজন যারা ধর্মীয় এবং তীর্থস্থানগুলির পবিত্রতা নিশ্চিত করবে।
ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির উন্নয়ন...
বিশ্বহিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন, ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির উন্নয়ন পর্যটনস্থলের মতো করলে হবে না। কারণ প্রকৃতিগতভাবে এরা আলাদা। এর পরেই অলোক কুমার বলেন, এটা আমাদের দাবি তীর্থস্থানগুলির উন্নয়নকল্পে আলাদা মন্ত্রক তৈরি করা প্রয়োজন। এদিন লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তকরণ নিয়েও মুখ খোলেন অলোক কুমার। তিনি বলেন, ধর্ম রক্ষা অভিযানের মাধ্যমে বিশ্বহিন্দু পরিষদ যে কেবল দেশবাসীকে লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তকরণ নিয়ে সচেতন করবে তা নয়, দেশকে এসব থেকে মুক্তও করবে। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ৩১ পর্যন্ত টানা ১০ দিন ধরে চলবে ধর্ম রক্ষা অভিযান। অলোক কুমার বলেন, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও ধর্মান্তকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে টোপ থাকতে পারে, থাকতে পারে ভয় এবং প্রতারণাও। তিনি বলেন, ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি করা উচিত।
আরও পড়ুন: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার
বিশ্বহিন্দু পরিষদের (VHP) এই নেতা বলেন, জাতীয় ঐক্যের পক্ষে যা ভীতিকর এবং দেশের ভূখণ্ড যাতে অটুট থাকে, সেজন্য বিশ্বহিন্দু পরিষদ মঙ্গলগীত বাজিয়েছে। এখন সমাজ একটা স্থায়ী সমাধান দেখছে। তিনি বলেন, এই সংগঠন (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) নানাভাবে গণ-সচেতনতা গড়ে তুলবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বহিন্দু পরিষদের (VHP) দাবি, ১৯৬৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬২ লক্ষ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণ থেকে রক্ষা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ন লক্ষ মানুষকে স্বধর্মে ফেরানো গিয়েছে। অলোক কুমার বলেন, প্রায় ২৫ হাজার হিন্দু মহিলাকে উদ্ধার করা গিয়েছে লাভ জিহাদের ফাঁদ থেকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours