মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গের প্রথম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’চালু হবে নতুন বছর থেকেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেও কবে থাকে বন্দে ভারত সাধারণের জন্য চালু হবে তা এখনও জানাতে পারেননি রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ইতিমধ্যেই বাঙালির ভুঁড়িভোজের কথা মাথায় রেখে বঙ্গের বন্দে ভারতের বিশেষত্বই হচ্ছে তার মেনু। বাঙালি রুচির কথা ভেবে এখানে আমিষও ঠাঁই পাচ্ছে। নববর্ষ, দুর্গাপুজোর বিশেষ মেনুর পরিকল্পনা হচ্ছে। যাত্রার শুরুতে বিশেষ শ্রেণিতে থাকতে পারে ডাবের জলের আপ্যায়ন। থাকবে চা কফি। বাসমতি চালের ভাত, ভাজা মুগের ডাল,তরকারি,মাছের ঝোল,চিকেন,ফিশ ফ্রাই থাকবে ঘুরে ফিরে। খাবার ঠান্ডা বা গরম থাকার ব্যবস্থা থাকবে।
বাঙালিয়ানার ছোঁয়া
ইতিমধ্যেই লুচি-আলুরদম, লুচি-ছানার ডালনার সঙ্গে নলেন গুড়ের সন্দেশ ও ফিশ ফ্রাইয়ের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের কাছে। ।এ ছাড়াও মেনুতে থাকছে বাজরার রুটি, ভুট্টার রুটির ব্যবস্থা। কেক, ডিমসেদ্ধও থাকছে। মিলবে দই, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস। এই খাবার বা অন বোর্ড ক্যাটারিং ব্যবস্থা সামলাবে আইআরসিটিসি নিজেই৷ হাওড়া এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্য়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীরা পাবেন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, স্ন্যাক্স। এছাড়া চা,জলের ব্যবস্থাও থাকছে। কেউ যদি হাওড়া থেকে এনজেপি সফর করেন, তবে তাঁকে ট্রেনে ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। আবার যদি কেউ এনজেপি থেকে হাওড়া আসেন তবে ট্রেনে চা-জলখাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে। আপনার ট্রেনের টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই খাবারের দাম ধরা থাকবে। আপনি আপনার সময় মতো চেয়ারে বসেই খাবার পেয়ে যাবেন। যাঁরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে অন বোর্ড ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে। যেখানে আবার প্লেনের মতো দুই ধরনের বসার বিভাগ আছে। একটি হল ইকোনমি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস। আধুনিক প্রযুক্তির সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রাখতে রেলের তরফে অন্তত এক পিঠে যাত্রার সময় আধ ঘণ্টা কমানোর চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে আরও এক ঘন্টা সময় বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর। সে-জন্য খানা থেকে গুমানি এবং মালদহ থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ট্রেনটির গতিবেগ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours