Antony Blinken: নয়াদিল্লি আসছেন দুই মার্কিন কর্তা, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে আমেরিকা?

দুই মার্কিন কর্তার ভারত সফরের সিদ্ধান্তে চড়ছে জল্পনার পারদ...
jaishankar_blinken_f
jaishankar_blinken_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলছে গত পাঁচিশ দিন ধরে। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, আমেরিকা সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় ইজারায়েল গেলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। সেখান থেকে ফিরে ভারত সফরে আসবেন তিনি। ব্লিঙ্কেনের সফরসঙ্গী হিসেবে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনও। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। আবার হামাসের ডেরা প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে সাহায্য পাঠিয়েছে দুর্গতদের জন্যও। এমতাবস্থায় দুই মার্কিন কর্তার ভারত সফরের সিদ্ধান্তে চড়ছে জল্পনার পারদ।

ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন

মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন এ দেশে এসে দুটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠক হবে অস্টিনের। বাইডেন প্রশাসনের এই দুই কর্তা গিয়েছেন ইসরায়েলে। সেখান থেকে জর্ডন হয়ে তাঁরা আসবেন ভারতে। তবে ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর এবং অস্টিন-রাজনাথ বৈঠক কবে হবে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর ও অস্টিন-রাজনাথের বৈঠকে। আলোচনায় ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও উঠতে পারে।

মোদি জমানায় ভারতের গুরুত্ব 

নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করছে নয়াদিল্লি। এতদিন ভারতকে বিশ্ব নেতৃত্ব সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও, মোদি জমানায় দিচ্ছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষিতে গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ভারতের। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও, হামাসের গায়েও জঙ্গি তকমা সেঁটে দেয়নি ভারত। যদিও মুসলিম এই সংগঠনকে জঙ্গি বলে দেগে দিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। এমতাবস্থায় হামাস দখলীকৃত প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত।

আরও পড়ুুন: “বজরঙ্গবলীর গদাই হল তালিবানের দাওয়াই”, কেন বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ায় ভারতকেই পালন করতে হতে পারে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা। এতদিন এই ভূমিকাটা পালন করত কাতার। সেই কাতারকে পিছনে ফেলেই এগিয়ে যেতে চাইছে ভারত। এর একটা কারণ যদি ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতা হয়, তবে অন্য কারণটা অবশ্যই বিশ্বে নয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার বাসনা। সে স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে লালন করছে (Antony Blinken) মোদি সরকার।

সেই কারণেই কি ভারতে আসছেন বাইডেন প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা?  

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles