Typhoon Nanmadol: সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার! জাপানে তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে দানবীয় টাইফুন ‘নানমাডোল’

ভয়াবহ ঝড়ের জেরে রবিবারের মধ্যে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে দক্ষিণ পশ্চিম জাপান থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
rf47km3o_japan-typhoon-_120x90_18_September_22
rf47km3o_japan-typhoon-_120x90_18_September_22

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) উপুকূলে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী টাইফুন ‘নানমাডোল’ (Typhoon Nanmadol)। এই টাইফুনের প্রভাবে সঙ্কটে পড়তে চলেছে জাপানের বহু মানুষ। রবিবার এমন তথ্য জানিয়েছে জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কিমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিমি। এর জন্যে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম জাপান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া দফতর (জেএমএ), দক্ষিণ কিউশু প্রিফেকচারের কাগোশিমা অঞ্চলের জন্য "বিশেষ সতর্কতা" জারি করেছে। আজ, রবিবার থেকে স্থলভাগের দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি। আর এর ক্ষতির থেকে বাঁচতে উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। ধারণা করা হয়েছে যে আজ এ ঝড়ের কারণে জাপানে ভূমিধস ও বন্যা হতে পারে। একদিকে ঘূর্ণিঝড়, তারই মধ্যে রবিবার জাপানে ঘটে গেল ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ৪৪ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাইওয়ানের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প।

আরও পড়ুন: গতি ঘণ্টায় ২৫৭ কিলোমিটার! ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন ‘হিন্নামনর’

জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কাগোশিমা এবং মিয়াজাকির ২৫,৬৮০ টি পরিবারে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। এর পাশাপাশি সেখানে বন্ধ রাখা হয়েছে বুলেট ট্রেন পরিষেবা। ৫১০ টি বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ফেরি পরিষেবা ও রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। জেএমএ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রবল বাতাস, ঝড়বৃষ্টি এবং মুষলধারে বৃষ্টি, সুনামি, বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় অনুসারে, নানমাডোল ঘূর্ণিঝড় সকাল ৯টা নাগাদ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ইয়াকুশিমার কাছে ছিল। এটি এখন ধীরে ধীরে দেশের প্রধান দক্ষিণ দ্বীপ কিউশু-র দিকে এগিয়ে আসছে ও এখানেই আজ সন্ধ্যায় আছড়ে পড়তে পারে। ওই সময়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে এবং ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার (২০ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর এটি পূর্বদিকে ঘুরবে এবং মঙ্গলবার টোকিও পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

জাপানে এই মুর্হূতে সাইক্লোন সিজন চলছে। প্রতিবছর জাপানে কম বেশি ২০ টি সাইক্লোন তৈরি হয়। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে নানমাডোলের জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই হবে বলে জানা গিয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতর এই ঘূর্ণিঝড়কে ক্যাটাগরি ৫ হ্যারিকেন হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles