Twitter: খরচে লাগাম টানতে দিল্লি-মুম্বাইয়ের অফিস বন্ধ করল ট্যুইটার, কাজ হবে বাড়ি থেকেই

ইলন মাস্কের বক্তব্য, ভারতে সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না ট্যুইটার।
twitter
twitter

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বস্ত ট্যুইটারের (Twitter) আর্থিক পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় খরচ কমাতে ভারতের অধিকাংশ অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্যুইটারের নয়া মালিক ইলন মাস্ক। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বসেই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। ভারতে শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই এখনও ট্যুইটারের অফিস রয়েছে। ট্যুইটারের ভরাডুবির মধ্যেই এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট সংস্থা কেনেন পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি তথা টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক। কেনার পর থেকেই খরচ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বহু কর্মীও ছাঁটাই করা হয়েছে সংস্থাটি থেকে। এবার দফতর বন্ধ করার পথে হাঁটলেন এই ধনকুবের। 

জানা গিয়েছে, ট্যুইটারের (Twitter) তিনটি অফিস ছিল ভারতে। সেখানে অন্তত ২০০ জন কর্মী কাজ করতেন। কিন্তু গত বছর ট্যুইটারের মালিকানা বদলের পরেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীকে। খরচ কমাতে বিশ্বজুড়েই অসংখ্য টুইটার কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছেন মাস্ক। ভারতেও তার প্রভাব পড়েছে। মাত্র কয়েকজন কর্মীকে দিয়েই ভারতে কাজ সারছে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি।   

এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার হঠাতই অফিস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ট্যুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ। তিনটি দফতরের মধ্যে দু’টিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অফিসের কর্মীদের বলা হয়েছে, আপাতত বাড়িতে বসেই কাজ চালাতে হবে। তবে কতদিন এভাবে কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে সংস্থা কিছু জানায়নি কর্মীদের। 

ইলন মাস্কের বক্তব্য, ভারতে সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না ট্যুইটার (Twitter)। যদিও একাধিক সমীক্ষার দাবি, আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বহু উন্নতির সুযোগ রয়েছে ভারতে। তবে মাস্কের দাবি, ভারত ট্যুইটারকে ব্যবসায়িক লাভ দিতে ব্যর্থ। তাই খরচ কমাতে ভারতের অফিস বন্ধ করা হয়েছে। যদিও বেঙ্গালুরুতে এখনও ট্যুইটারের অফিস চলছে। সেখানে মূলত ইঞ্জিনিয়াররাই কাজ করেন। সেই অফিসও যেকোনও মুহূর্তে বন্ধ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন: বদলির নির্দেশ না মানলে বন্ধ হবে শিক্ষকদের বেতন, কড়া বার্তা হাইকোর্টের

পলিসিগত বদলের কারণে ইতিমধ্যেই বহু বিজ্ঞাপনদাতাকে হারিয়েছে ট্যুইটার (Twitter)। সংস্থার খরচ টানতে নিলামে তুলতে হয়েছে সানফ্রান্সিসকো হেড কোয়ার্টারের একাধিক আসবাব, কফি মেশিনও। বেচে দিতে হয়েছে সংস্থার লোগো স্থাপত্যটি। তাতেও মেটানো যাচ্ছে না সংস্থার হেডকোয়ার্টারের ভাড়া। এখানেই শেষ নয়, খরচ টানতে ট্যুইটারে ইউজারদের হ্যান্ডেল নেমগুলিও নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলন। তবে তাতেও সংস্থার অর্থনীতির হাল ফেরাতে পারছেন না ইলন। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles