মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক সেবন এবং নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তুনিশাকে চাপ দিত শীজান। তাঁকে ব্যবহার করত অর্থ উপার্জনের জন্য। শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিনেত্রী তুনিশার মা বনিতা শর্মা। এটা খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন বনিতা। তিনি জানান, নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য গত তিন মাসে তুনিশাকে তিনি ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তা-ও তুনিশা বন্ধুদের থেকে টাকা নিতেন এবং তা সম্ভবত শীজানকে দিতেন তাঁর নেশা পূরণের জন্য দাবি বনিতার।
আত্মহত্যা না খুন!
তুনিশা শর্মা মৃত্যুর পরেই তাঁর শেষ মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। জানা যায় যে, ভিডিয়োটি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খানকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। যে ভিডিয়োতে তুনিশা ছাড়াও আরও বেশকয়েকজনকে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে তাঁদের পরিচয় না জানা গেলেও তাঁরা ধারাবাহিকের কর্মী বলেই মনে করা হচ্ছে। এই হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গেও শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বনিতা। তিনি অভিযোগ করেন যে, যখন তুনিশাকে মেকআপরুমের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়, তখনও তুনিশা বেঁচে ছিল। সেই সময় তাড়াতাড়ি কাছের কোনও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে কেন তাঁকে দূরের হাসপাতালে নিয়ে গেল শীজান? তুনিশার মা বলেন, ‘এটা সুইসাইডও হতে পারে, খুনও হতে পারে। ওকে যখন উদ্ধার করা হয়। তখনও ও শ্বাস নিচ্ছিল। ওকে বাঁচানো সম্ভব হত।’
আরও পড়ুন: "মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে", শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা
গত ২৪শে ডিসেম্বর ‘আলিবাবা-দাস্তান-এ-কবুল’-এর মেকআপ রুমে আত্মহত্যা করেন সিরিয়ালের লিড নায়িকা তুনিশা শর্মা। পরদিন প্রয়াত অভিনেত্রী মায়ের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তুনিশাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন সিরিয়ালের নায়ক তথা তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খান। বনিতা জানান, সিরিয়াল চলাকালীন শীজানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় তুনিশা। তারপর থেকেই তুনিশা উর্দুতে কথা বলতে থাকেন। হিজাবও পরেন। তুনিশার মায়ের দাবি, শীজানের পরিবার তাঁকে এ বিষয়ে চাপ দিত। প্রসঙ্গত, এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তুনিশার প্রাক্তন শীজান খানকে। ইতমধ্যেই ভাসাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন শীজান। ১১ জানুয়ারি অবধি রায় স্থগিত রেখেছে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours