মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীদের দাদাগিরি। রাতে একাধিক বাড়ি ভাঙচুর। রবিবার সকালে যুব তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। পুরাতন মামলা প্রত্যাহার না করায় এহেন হামলার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা প্রধানের এক অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত দুই তৃণমূল কর্মী। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। যুব তৃণমূল কর্মীর নাম সেখ জাকির হোসেন এবং প্রধান অনুগামী জখম কর্মীর নাম সেখ ইনসান আলি। বাড়ি আরামবাগের বলুন্ডি এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির হোসেন নামে এক যুবক তৃণমূলের যুব গোষ্ঠীর কর্মী। পুরাতন একটি গন্ডগোলের ঘটনায় জাকির সহ এলাকার বেশ কয়েকজন যুব তৃণমূল কর্মী স্থানীয় আরামবাগ (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সাঁতরার অনুগামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মামলা প্রত্যাহার না করায় প্রধান অনুগামীরা শনিবার এলাকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল যুব কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি রবিবার সকালে সেখ জাকির হোসেনকে বাজারে একা পেয়ে প্রধানের অনুগামীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত জাকির বলেন, প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় দাদাগিরি চালাচ্ছে। থানায় অভিযোগ তোলা হয়নি বলে আমাদের যুব কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বেধড়ক মেরেছে।
কী বললেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান?
পুরো ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অলোক সাঁতরার নেতৃত্বে তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আক্রান্তরা। যদিও ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর- ২ নং পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সাঁতরা। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও হামলা করা হয়নি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং আমাদের দলের কর্মী সেখ ইনসান আলিকে ওরা মারধর করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours