West Bengal Police: ব্যক্তিগত কারণেই দণ্ডি কেটেছেন আদিবাসী মহিলারা, পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে ফের তরজা

এই পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে, তোপ সুকান্তর
West_Bengal_Police
West_Bengal_Police

 মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের (West Bengal Police) পাঠানো ১৩ এপ্রিলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় এসটি কমিশনকে জেলার পুলিশ সুপার চিঠি দিয়ে দণ্ডিকাণ্ডে তদন্তের বিষয়টি জানান। চিঠিতে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দণ্ডিকাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলাদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ব্যক্তিগত কারণে এই দণ্ডি কেটেছেন বলে পুলিশকে (West Bengal Police) জানিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই বলেও তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন। চিঠিতে পুলিশের পক্ষ থেকে এসবই দাবি করা হয়েছে। যদিও পরে একজন থানায় এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মূলত বালুরঘাটের তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। কিন্তু, পুলিশ প্রথম থেকেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নাম সামনে আনতে চায়নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। পরিবর্তে  এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ (West Bengal Police)। এবং পরবর্তী সময়ে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। আর তারপর ১৩ এপ্রিল পুলিশ যে রিপোর্ট এসটি কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে তাতে আবারও মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশি (West Bengal Police)  রিপোর্ট নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতারির ঘটনায় খুশি নয় বিজেপি। এর আগেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতাদের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাটসহ সব থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। এমনকী, জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশি রিপোর্ট প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুলিশের (West Bengal Police) রিপোর্ট দেখে হাসি পাচ্ছে। আসলে রিপোর্টে বলা হচ্ছে, কেউ দোষী নয়। ওরা নিজেদের ব্যক্তিগত কারণে দণ্ডি কেটেছে। তাহলে দুজনকে পুলিশ (West Bengal Police)  গ্রেফতার করল কেন? আসলে এই পুলিশ (West Bengal Police)  পুরোপুরি দলদাসে  পরিণত হয়েছে। দণ্ডিকাণ্ডের ঘটনাটি  কেন্দ্রীয় সংস্থা জেলায় এসে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় এসটি কমিশন কী রিপোর্ট চেয়েছে জানি না। পুলিশ (West Bengal Police)  কী রিপোর্ট দিয়েছে তা জানি না। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য আমরা করব না। পুলিশ (West Bengal Police) সক্রিয়তার সঙ্গে তদন্ত করছে। আমরা চাইব, এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles