মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে (নির্বাহী সহায়ক) মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধানের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে। সুবিচারের আশায় মঙ্গলবার নির্বাহী সহায়করা একত্রিত হয়ে নিরাপত্তার দাবিতে বিডিও র দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা চলছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ১৩ মে টাকা জমা নেওয়ার শেষদিন ছিল। আর সেই দিন প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই বিডিওর নির্দেশেই টাকা জমা নিতে গিয়েছিলেন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জিয়ারুল রহমান। এতেই প্রধানের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই নিয়ে ১৫ মে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান অনুগামীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জিয়ারুলসাহেব। এমনকী সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিডিওর উদ্যোগে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পুলিশ পর্যন্ত পাঠাতে হয়। সেই রাগেই জিয়ারুলসাহেব বাড়ি ফেরার সময় বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে তাঁকে একা পেয়ে প্রধান অনুগামী তথা ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই তাঁর ওপর চড়াও হয়। প্রকাশ্যেই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, বিডিওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলীদের এই হামলার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে জিয়ারুলের পাশে দাঁড়ান ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কেরা। মঙ্গলবার বিকেলে বিডিওর কাছে গিয়ে সকলেই স্মারকলিপি জমা দেন।
কী বললেন আক্রান্ত পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক?
নির্বাহী সহায়ক জিয়ারুল রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই আমি কাজ করেছি। সেটা হামলাকারীদের পছন্দ হয়নি। তাই কাজ শেষে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে মারধর করেছে ওরা। তৃণমূল (TMC) নেতা তাপস দোলুইয়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। আমরা বিডিও-র কাছে সমস্ত বিষয়টি লিখিতভাবে জমা দিয়েছি।
কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান?
চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চাশ সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানই চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। হামলার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই বিষয়ে বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা কোটাল বলেন, নির্বাহী সহায়ক বিডিও-র নির্দেশে টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা নিয়ে ভুল করেছে। তবে, মারধরের ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
কী বললেন বিডিও?
চন্দ্রকোণা- ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, টেন্ডারের টাকা জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এদিন নির্বাহী সহায়করা ডেপুটেশন দিয়েছেন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours