মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভার জন্য দেওয়া হয়েছিল বাস। তবে, পাঁচটি বা দশটি বাস নয়, সবমিলিয়ে সাড়ে তিনশো বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও প্রাপ্য টাকা পাননি পশ্চিম বর্ধমানের সাড়ে তিনশো মিনিবাসের মালিকরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় দরবার করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ঠিক কী অভিযোগ? (Mamata Banerjee)
এবছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানে দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল, রানিগঞ্জ থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। মিনিবাসের জন্য জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া এবং দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পাননি। প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাস মালিকরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সেই টাকা আজও আসেনি। বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় ন'মাস ধরে তাঁদের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।
বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের কী বক্তব্য?
মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন'-এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন 'দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন' প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার জন্য প্রায় শতাধিক বাস নেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দিন দশেকের মধ্যে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও তা আর হয়নি। এমনিতেই মিনিবাস পরিষেবা ধুঁকছে। তার উপরে সরকারি কর্মসূচিতে মিনিবাস দিয়েও পাওনা না পেলে আমরা কী করব?
জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?
জেলা পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন, 'আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না।' তবে পরিহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পবিহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে সমস্যার সমাধান হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours