মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক সঙ্কটের মুখ থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে সাহায্যে হাত বাড়াতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এমনটাই অনুমান প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) প্রধান অমরজিৎ সিংহ দুলাত। তিনি বলেন, "চলতি বছরের শেষের দিকেই পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারে ভারত সরকার। যা পড়শি দেশটিকে সঙ্কট থেকে বার করে আনবে।"
কী বলেন অমরজিৎ?
অমরজিতের আরও দাবি, চিন, রাশিয়া এবং ইরান সখ্য দেশগুলিকে মদত দিয়ে ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "ভারতের সতর্ক হওয়া উচিত। ভারতের বন্ধু দেশ আমেরিকার চেয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তান অনেক নিকটে। তাই পাকিস্তানের দিকেই ভারতের মনোনিবেশ করা দরকার।"
আরও পড়ুন: "মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার", রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অমরজিৎ বলেন, "পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও সময়, যে কোনও অবস্থাতেই আলোচনায় বসা যায়। আমাদের প্রতিবেশীকে আমাদেরই ব্যস্ত রাখতে হবে।"
তিনি বলেন, ‘‘আমার অনুমান, মোদীজি পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারেন। আমি এই নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোনও তথ্য পাইনি। আমার কেবল মনে হচ্ছে, এটা হতে পারে।’’
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে রয়েছে পাকিস্তান (Narendra Modi)।। দেউলিয়া হয়েছে প্রতিবেশী দেশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দুমুঠো খাবারের জন্যে হাহাকার করছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাও প্রশ্নের মুখে। বিশ্ব অর্থভান্ডার পাকিস্তানকে অনুদান এবং ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই এই অবস্থা সে দেশের। এবার কী তাহলে সাহায্যার্থে এগিয়ে যাবে ভারত? সেটা সময়ই বলবে।
পাকিস্তানকে সম্প্রতি ৭০০ মিলিয়ন ডলার 'অর্থসাহায্য' করেছে চিন। এর আগে এভাবেই 'অর্থসাহায্য' এবং 'বিনিয়োগ'-এর নামে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে সেই দেশকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে চিন। এই আবহে পাকিস্তানকে দেওয়া এই ঋণ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। এবং এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে এবার 'গুরুত্বপূর্ণ' আলোচনা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকবছর ধরেই চিনা 'ঋণের ফাঁদ' নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্বে। বিভিন্ন দেশকে অর্থ সাহায্য দিয়ে কার্যত তাদের নিজেদের বশে নিয়ে আসে চিন। গতবছরই শ্রীলঙ্কার ভয়ানক পরিস্থিতি তার অন্যতম প্রমাণ। ভারতের পড়শি নেপাল, বাংলাদেশকেও এই 'ঋণের ফাঁদে' ফেলতে চায় চিন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেই ফাঁদে আর্ধেক পা দিয়ে রেখেছে 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে'র নামে। আর এবার দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিল পাকিস্তান।
+ There are no comments
Add yours