Minorities Certificate In Assam: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

"কারা সংখ্যালঘু সেটা বোঝা যেত না, তাই এই সিদ্ধান্ত..."
Assam-tea1
Assam-tea1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের পরিচয়পত্র (Minorities Certificate) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসাম ক্যাবিনেট। মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসাম সরকার (Assam government)। রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) উপস্থিতিতে গৃহীত মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত। আসাম মন্ত্রিসভার দাবি, সংখ্যালঘুরা (minorities) যাতে সরকারি সুবিধাগুলি আরও বেশি করে পান সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত (Keshab Mahanta) জানিয়েছেন, ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে কীভাবে এই শংসাপত্র দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে তা স্থির করা হবে। তিনি বলেন, এবারই প্রথম এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এতদিন আমরা তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে শংসাপত্র দিতাম। তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও তাদের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য আমাদের পৃথক বোর্ড রয়েছে। কিন্তু কারা সংখ্যালঘু সেটা বোঝা যায় না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে যাঁদের শংসাপত্র থাকবে তারা সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যার পর জেগে উঠছে কাশী, মথুরা, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম দাবি যোগীর

২০১১-র জনগণনা অনুসারে, আসামের ৬১.৪৭ শতাংশ হল হিন্দু। মুসলিম ৩৪.২২ শতাংশ, খ্রিস্টান ৩.৭৪ শতাংশ। আসাম মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিব মহম্মদ চৌধুরী জানিয়েছেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। তবে আসাম কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন কুমার বোরাহের অভিযোগ, এটা বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির নজির। বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনের পথ তৈরি করবে এই শংসাপত্র। যদিও আসাম সরকারের তরফে মন্ত্রী কেশব মহন্ত জানান, এমন শংসাপত্র ইস্যু করতে অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। সেই প্রস্তাবই সরকার কার্যকর করতে চলেছে। সংখ্যালঘুদের জন্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে বারবারই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যে কারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সেই প্রশ্ন সব সময় ওঠে। ফলে পরিষেবা প্রদান থমকে যায়। তাই  সংখ্যালঘুদের পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা অযথা বিতর্ক তৈরি করছেন।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles