Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

দলীয় সভায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক, ঠিক কী বলেছেন তিনি?
Bhatar_(2)
Bhatar_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীদের উদ্দেশে। মূলত টার্গেট ছিল বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৪ জনের বদলে ৮ জনকে জেলে ঢোকাবেন। এবার সেই সুরেই কার্যত সুর মেলালেন ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'বদল নয়, এবার বদলা চাইব'। তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

 ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? (Bhatar)

ভাতাড়ের সিপিএমের পক্ষ থেকে ইনসাফ যাত্রা করা হয়েছিল। তার পাল্টা হিসাবে শুক্রবার ভাতারের (Bhatar) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে ভাতারের বলগোনা বাজার থেকে ভাতার বাজার পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানগোবিন্দ অধিকারী বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন, আমাদের চারজনকে জেলে ঢোকালে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। উনি আগে বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এবার বদলা চাইব।' এরপরেই সিপিএমকে নিশানা করে বিধায়ক বলেন, তোমরা কি করেছো সেটা তো আমরা জানি। এখনকার ১৯ বছরের যুবকরা জানে না তোমরা কি করেছো। কিন্ত, আমরা জানি, সেই হিসাব আমরা চাই।

বাম আমলে সিপিএমের অত্যাচারের কথা স্মরণ করালেন তৃণমূল বিধায়ক

ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ২০১০ এর ১০ই জানুয়ারি বনপাস স্কুলের কাছে টোটন মল্লিককে মারা হয়েছিল বোম মেরে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সে নিজের বোমাতেই নিজে মারা গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন, '২০১১ সালের ৩০ শে জানুয়ারি তেঁতুলতলায় আমাকে গুলি করা হয়েছিল, তখন পুলিশগুলিটাকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম গুলিটা কি হল,যেটা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, বড় সাহেবের নির্দেশে গুলিটা দেখায়নি। ইনসাফ তো আমরা চাই, তোমরা কি চাইবে?'

বামেদের পাশে লোক দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত, সরব সিপিএম নেতৃত্ব

সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, 'বদলার রাজনীতি, স্বৈরাচারী রাজনীতি নিয়ে চলছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে বামেদের পাশে লোক দেখে তাঁরা আতঙ্কিত।' তাঁর কথায়, ১২ বছর ধরে ইনসাফ চাইতে পারলো না,এখন বলছে ইনসাফ চায়। এসব আর ওদের মানায় না।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles