মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু'দিন আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে মহীশূরের শিল্পী অরুণ যোগীরাজের তৈরি মূর্তির। মোট তিনটি মূর্তির মধ্য়ে বাছা হয় অরুণ যোগীরাজের মূর্তিকে। জানা গিয়েছে, বাকি দুই বিগ্রহ গর্ভগৃহে না থাকলেও নতুন মন্দিরেই রাখা হবে। তারই মধ্যে একটি বিগ্রহ ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। শ্বেতপাথরের তৈরি ওই রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছেন রাজস্থানের এক শিল্পী।
শ্বেতপাথরের তৈরি রামলালার সেই বিগ্রহের বর্ণনা
শ্বেতপাথরের তৈরি রামলালার (Ram Mandir) ওই মূর্তির ঠোঁটে গোলাপী আভা দেখা যাচ্ছে। রামলালা মানে বালক রামের মূর্তিতে ফুটে উঠেছে শিশুসুলভ হাসি। বিগ্রহের গায়ে গয়না এবং ধুতিও পাথর দিয়েই খোদাই করা হয়েছে। মূর্তির ঠিক পিছনেই রয়েছে আর্চের মতো কাঠামো। তাতে খোদাই করা রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর প্রতিটি অবতার। বিগ্রহের এক হাতে সোনার তির, অন্য হাতে সোনার ধনুক। শ্বেত পাথরের এই বিগ্রহটি তৈরি করেছেন শিল্পী সত্যনারায়ণ পাণ্ডে। অন্য আর একটি বিগ্রহ তৈরি করেছেন কর্নাটকের শিল্পী গণেশ ভট্ট। সেটিও মন্দিরের (Ram Mandir) কোনও একটা জায়গায় রাখা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। দুই শিল্পী অবশ্য কোনওভাবেই হতাশ নন। এমন কাজের সুযোগ পেয়ে তাঁরা খুশি। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ওই দুই মূর্তিও মন্দিরে রাখা হবে।
অরুণ যোগীরাজের তৈরি মূর্তি ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার
সোমবার রামলালার যে মূর্তির ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে, তা তৈরি হয়েছে কৃষ্ণশিলায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫০ কোটি বছরের পুরানো কৃষ্ণশিলা দিয়ে নির্মিত হয়েছে এই বিগ্রহ। রামলালার (Ram Mandir) উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রক মেকানিকসের এইচএস ভেঙ্কটেশের মতে, ‘‘এই শিলা খুবই মজবুত। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত সহ্য করে হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এই নিরক্ষীয় অঞ্চলে। এটি মহীশূরের গুজ্জেগৌদানাপুরার থেকে খনন করে তোলা হয়েছে।’’
আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours