মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) মামলায় ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকায় উত্তর দিনাজপুরের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম। আর ঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধীরাও এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি করার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের বিদায়ী সভাধিপতির বিরুদ্ধে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় ওই তালিকায় ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। এরপর ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে বালিজোল হাইস্কুলে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন তিনি। বুধবার ৯০৭ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। এনিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
কী বললেন তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি?
এ বিষয়ে তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮ সালে চাকরি পেয়েছি। নিয়মনীতি মেনেই চাকরি হয়েছে। কোনও দুর্নীতি (Scam) করা হয়নি। কী কারণে এই তালিকায় আমার নাম এল, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। কবিতা বর্মনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা প্রফুল্ল বর্মন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। ছোট থেকেই ভালো ছাত্রী ছিলেন আমার স্ত্রী। নিয়ম নীতি মেনেই তাঁর চাকরি হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দলের পক্ষ থেকে কবিতা বর্মনের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা দলের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
এই ঘটনায় বিজেপির রায়গঞ্জ উত্তর শহর মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ যোশি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। বিজেপি বরাবর বলে এসেছে যে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির বাইরের রেট চার্ট ঝোলানো হোক, যে কোনও চাকরিতে কত টাকা লাগে। যেখানে সাধারণ মানুষ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছে না অথচ তৃণমূল নেতা নেত্রীর আত্মীয়রা চাকরি পাচ্ছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। সমস্তটাই অনৈতিক। আমরা ধিক্কার জানাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours