মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিন্দু রক্ত যে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ মিলল। সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক রূপ দেখলেন আরামবাগবাসী (Arambagh)। এক সিভিক ভলান্টিয়ার নিজে রক্ত দিয়ে মুমূর্ষু এক রোগীর প্রাণ বাঁচালেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন সকলে।
ঠিক কী হয়েছিল?
আরামবাগ (Arambagh) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীর শামসেদ তার ২২ বছরের অসুস্থ মেয়েকে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা মেয়ের জন্য তাঁকে রক্ত জোগাড় করতে বলেন, তা না হলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না বলে জানানো হয়। শামসেদসাহেব ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তের খোঁজ করেন। কিন্তু, সেখানে রক্ত না থাকায় চারিদিকে হন্যে হয়ে তিনি রক্ত খুঁজছিলেন। কোথাও রক্তের হদিশ পাননি তিনি। অবশেষে শামসেদসাহেব আরামবাগ ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডুর কাছে গিয়ে তাঁর সমস্যার কথা বলেন। ওই পুলিশ আধিকারিক রক্তের গ্রুপ জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন। তুহিন শুভ্র হাজরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই পুলিশ আধিকারিককে রক্ত দেওয়ার কথা জানান। তুহিনের বাড়ি আরামবাগ (Arambagh) থানার জয়রামপুর গ্রামে। তিনি রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে চলে যান। সেখানে তিনি রোগীর জন্য রক্ত দেন। শামসেদসাহেব বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরজন্য আমার মেয়ের জীবন রক্ষা পেল।
কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?
আরামবাগ (Arambagh) ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডু বলেন, ওই রোগীর বাবাকে চরম অসহায় দেখাচ্ছিল। তিনি মেয়ের রক্তের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। তাঁর কাছে রক্তের গ্রুপ জেনে আমি পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করি। আর তাতেই কাজ হয়ে যায়। ওই সিভিক নিজেই উদ্যোগী হয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তাঁকে সঙ্গে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?
এ বিষয়ে অবশ্য রক্তদাতা সিভিক ভলান্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরা বলেন, আমি একজন মানুষ হিসাবে অন্য একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারিনি। আমার এই ছোট উদ্যোগে ওই রোগী উপকৃত হলেন। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে সকলের দাঁড়ানোর দরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours