Flu Virus: ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ! কী বলছেন চিকিৎসকরা?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েই চলেছে
viral
viral

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রার ওঠানামা, দূষণ নানা কারণে হয় এই ভাইরাল জ্বর (flu virus)। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রার তীব্র ওঠনামার জন্যই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। আবার তার পাশাপাশি বেড়েই চলেছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। এমনই একধরনের ভাইরাস হল এইচ৩এন২, এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (flu virus) নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। তবে, জ্বর এবং সংক্রমণের কারণ অন্যান্য ভাইরাসও থাকতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই স্ট্রেনটি বেশ বিপজ্জনক। যদি পরিবারের একজন সদস্য এটিতে সংক্রামিত হয়, তবে অন্যরাও সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে। 

ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ এবং উপসর্গ

যেকোনও ভাইরাল (flu virus) জ্বরের সাধারণ লক্ষণ হল সর্দি, কাশি, উচ্চ জ্বর, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, হাঁচি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যাথা, চোখ থেকে জল পড়া ইত্যাদি। আবার এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হয় প্রচুর।

চিকিৎসকদের মতে এর অর্থ হল ফুসফুসের আরও গভীরে চলে যাচ্ছে ভাইরাসটি। যদিও নিউমোনিয়ার পর্যায়ে কখনও নয়। তাই যদিও অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে না। এবং হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন নেই। তবুও রোগীদের ইনহেলার, নেবুলাইজার দরকার হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার জন্য জন্য কি কোভিড দায়ী

আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার জন্য অনেকেই কোভিডকে দায়ী করছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি অনুমান মাত্র। এটি প্রমাণ করার জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই। আসল কারণ হল গত দুবছর ধরে আমরা মাস্ক পড়ে অভ্যস্ত। হঠাৎ করে এবছর থেকে মাস্ক পড়া বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দু বছর পরে আমাদের আবার দূষিত পরিবেশের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এটাও এই সমস্যার অন্যতম কারণ।

কাদের মধ্যে সব থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়ায় এই ভাইরাস (flu virus)

গবেষকরা বলছেন, বাচ্ছা এবং বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। তবে পরিবারের একজন সংক্রমণিত হলে বাকিদের মধ্যেও আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। 


আপনার কখন একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

চিকিৎসকরা বলছেন, তিনদিন পরেও যদি সুস্থ না হন তখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এর আগে অবধি প্যারাসিটামল, অ্যান্টি-অ্যালার্জেন দিয়েই কাজ চালান। কিন্তু যদি শ্বাসকষ্ট প্রবল হয় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না

চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যালকোহল এবং ধূমপান একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। ৬৫ বছরের উর্দ্ধে থাকা ব্যক্তিদের নিউমোনিয়ার টিকা অবশ্যই নিতে হবে। ভাল করে ঘুম এবং খাবার ডায়েট মেনে চলতে হবে।

 

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।



Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles