One Nation One Election committee: “এক দেশ এক ভোট” নিয়ে মোট ৮ জনের কমিটি গড়ল কেন্দ্র

“এক দেশ এক ভোট” কমিটিতে কে কে আছেন? জেনে নিন
One_Nation_One_Election_committee
One_Nation_One_Election_committee

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দেশ এক ভোট অর্থাৎ ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন (One Nation One Election committee) নীতিকে বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্র সরকার বিশেষ কমিটি গঠন করল। এই কমিটির প্রধান নেতৃত্বে রয়েছেন, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শনিবার এই কমিটির মধ্যে আরও ৭ জনের নাম ঘোষণা করে, এক দেশ এক ভোটকে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে, বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

কমিটিতে কে কে আছেন (One Nation One Election committee)?

এই এক দেশ এক ভোটের (One Nation One Election committee) কথা, কেন্দ্রের মোদি সরকার অনেকদিন আগে থেকেই বলে আসছিলেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই নীতি নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। প্রথমে একজন সদস্য হিসাবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কথা হলেও আজ আরও সাতজনকে এই কমিটির মধ্যে নাম ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে প্রথমে সদস্য সংখ্যা ছিল ১। এখন আরও ৭ জনের নাম যুক্ত হওয়ায় মোট কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ৮। এই কমিটির মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দল নেতা অধীর রঞ্জন চৌধরি এছাড়াও থাকছেন গোলাম নবী আজাদ, এনকে সিংহ, সুভাষ সি কাশ্যপ, হরিশ সালবে এবং সঞ্জয় কোঠারী।

সংসদের বিশেষ অধিবেশন

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্র সরকার চাইছেন দেশে এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election committee) ব্যবস্থা কার্যকর হোক। সারা দেশে এতও নির্বাচন এবং এত সময় অপচয়ের কথা মাথায় রেখে, অতিরিক্ত খরচের বোঝা থেকে দেশকে মুক্ত করতে এই এক দেশ এক নির্বাচন। কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সাংবাদিক সম্মেলন করে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কথা ঘোষণা করছেন। এই অধিবেশন হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৫ দিন। এই অধিবেশনে সরকার পক্ষ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর কথা ভাবছেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল। যদিও এই অধিবেশনে কী কী বিষয় থাকবে তা এখনও সরকার স্থির করে কিছুই বলেননি।

হতে পারে বেশ কিছু অনুচ্ছেদের বদল

এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election committee) কার্যকর হলে দেশের বিধানসভা গুলিতে আঞ্চলিক দল গুলির অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। একই কথা বিরোধীদের মহাজোটের মুম্বাই বৈঠকে ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বিধানসভা, লোকসভার বেশ কিছু অনুচ্ছেদের বদল ঘটতেও পারে। ৮৩ নম্বর ধরায় যেমন সংসদের উভয় কক্ষের মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। আবার ৮৫ নম্বর ধারায় লোকসভা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। ১৭২ নম্বর ধারায় রাজ্যের বিধানসভার কথা যেমন রয়েছে তেমনি আবার ১৭৪ নম্বর ধারায় বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সর্বপরি ৩৫৬ নম্বর ধারায় রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলা হয়েছে। ফলে জনপ্রতিনিধি আইনের সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles