S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জয়শঙ্কর কী বললেন, জানেন?...
jaishankar
jaishankar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিয়ে আসেন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ।

প্রসঙ্গ: ২৬/১১ 

বিদেশমন্ত্রীর মতে, স্বাধীনতার সময় থেকেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ভারত। এর মদত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে আসে ২৬/১১র মুম্বই হামলার ঘটনার কথা। ওই দিন মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল লক্সর-ই-তৈবা। সেটাকেই এদেশে সন্ত্রাসবাদের ‘পিভটাল মোমেন্ট’ বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ শুরু হয়েছিল সেই মুহূর্তে, যখন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তখন পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিল রেইডাররা।... আজ এ দেশে যা বদল হয়েছে, আমার মনে, হয় এর পটভূমিতে রয়েছে ২৬/১১-র মুম্বই হামলা।”

প্রসঙ্গ: সীমান্তপারের সন্ত্রাস

জয়শঙ্কর বলেন, “কেউ যদি নিরন্তর সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দিয়ে যায়, তাহলে তার পাল্টা জবাব দেওয়ার দায় বর্তায় আমাদের ওপর।” তিনি বলেন, “২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদ দেখার আগে পর্যন্ত অনেকেই সন্ত্রাসবাদ রুখতে কী করা উচিত, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। তাই এখন আমাদের প্রথমেই যেটি করতে হবে, সেটি হল আমাদের প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমি জানি, সেই লোকগুলিকে যাঁরা বলেছিলেন, আমাদের একটা স্মার্ট স্ট্র্যাটেজি ছিল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায়। আমার মনে হয় না এর কোনও অর্থ হয়। আমার মনে হয় না যে এর কোনও কৌশলগত দিক আছে।” তার পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি লাগাতার সীমান্তপার সন্ত্রাসে মদত দেয়, তাহলে আপনাকে যোগ্য জবাব অবশ্যই দিতে হবে।”

আরও পড়ুুন: রেকর্ড গড়ার পথে ব্রিগেড! ‘লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠে’ মুখরিত কলকাতা

গান্ধীনগরের লাভাড রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে তিনি (S Jaishankar) বলেছিলেন, “ভারতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা।” তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি অন্যদের নিরাপত্তায় অবদান রাখতেও লড়তে হবে আমাদের। এটা হতে পারে আমাদের সব চেয়ে কাছের কোনও প্রতিবেশী দেশ কিংবা যাদের কাছে অর্থনৈতিক বা শক্তিগত সমর্থন পাই, তাদের প্রতি। অথবা এটা গ্লোবাল সাউথের মতো কোনও বৃহত্তর সম্পর্কের জন্য হতে পারে।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles