SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি।
suvendu4
suvendu4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। আজ, সোমবার ভোরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে, বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।

শুভেন্দুর দাবি

রাজ্যের বিরেধী দলনেতা, শুভেন্দু বলেন, ‘আমি ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অন্য অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের (SSC Scam) কাজ করেছেন। তবে, সব তদন্ত কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর কথায়,‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’

মেধা চুরি হয়েছে

শুভেন্দু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ 

আরও পড়ুন: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

অগাধ সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণের

প্রসঙ্গত, এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক (অপসারিত) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সম্পত্তির নিরিখে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও পিছনে ফেলে দিতে পারেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles