মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের হীরক রানি হঠাৎ চোরেদের বাঁচাতে উদয় হয়েছেন। খাদ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর মতো চোরকে বাঁচাতে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপির কর্মী খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রানাঘাটে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, নোটবন্দির সময় জ্যোতিপ্রিয় তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে সল্টলেক ব্যাঙ্কে ৪ কোটি টাকা বদল করেছিলেন। এই টাকা কার? মুখ্যমন্ত্রী কী জানতেন না। বালুর স্ত্রী ও তাঁর পিএ অভিজিতে নিউ দিঘা সহ কত জায়গায় হোটেল রয়েছে আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জানতেন না। বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র ২০১২ সাল থেকে সম্পর্ক। উত্তর ২৪ পরগনার এবং নদিয়াতে সব থেকে দুর্নীতি করেছে। চিনার পার্কে বাকিবুরের হোটেলে উদ্বোধন করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, ত্বহা সিদ্দিকি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে বলেন, ২০১২ সাল থেকেই খাদ্য দপ্তরে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগণায় এমন কোনও রাইস মিল নেই যেখানে দুর্নীতি হয়নি। আর এর পিছনে অনেক বড় বড় দুর্নীতিবাজ রয়েছে।
দলীয় কর্মী খুন নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)
বুধবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গতকাল রাতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয় বিজেপি কর্মীদের। আজ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন নদীয়া রানাঘাটে আসেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তিনি বলেন, এই ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ শত প্রণোদিতভাবে মামলাটাকে লঘু করার চেষ্টা করছে। আমরা প্রয়োজনে তার পরিবারকে নিয়ে আইন আদালতের দ্বারস্থ হব।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে মিথ্যাবাদী বলে দাবি করেছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একজন মিথ্যাবাদী। গোটা দেশের এমন কোনও জনপ্রতিনিধি নেই যাকে কোন আদালত জরিমানা করেছে। সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনি চেক লিখে কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন। এর থেকেই বোঝা যায় তিনি কেমন জনপ্রতিনিধি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours