Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

টাকা কোথায় না বললে ৮৭ টা কেস দেওয়া হবে ভয় দেখায় পুলিশ। হাইকোর্টে জামিন পেয়ে বললেন কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ঠিকাদার
suvendu_adhikari
suvendu_adhikari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতিতে (Contai Municipality Tender Scam) অভিযুক্ত ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডা। গ্রেফতারের পর পুলিশ নাকি তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বয়ান দিতে হুমকি দিয়েছিল। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডার আরও অভিযোগ টেবিলে রিভলভার রেখে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে (Suvendu Adhikari) বয়ান দিতে জোর করেছিল পুলিশ। কিছু না বললে পরপর মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

রামচন্দ্রকে গ্রেফতার

গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল রামচন্দ্র পাণ্ডাকে। দারুয়া ফ্রেন্ডস সমবায় সমিতির সভাপতি কাকলি পাণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল রামচন্দ্রকে। তাঁর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জামিন চাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করেন, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কাকলি পাণ্ডার উপর চাপ তৈরি করে মিথ্যে অভিযোগ করতে বাধ্য করে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় রামচন্দ্রকে। তাঁর গ্রেফতার নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিনও মিলেছে কাঁথি (Kanthi) পুরসভার ঠিকাদার তথা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার (Ramchandra Panda)। 

মিথ্যা অভিযোগ 

গত বুধবার সশরীরে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন কাকলি পাণ্ডা। তিনি বলেন, কেউ বা কারা তাঁকে জোর করে একটা কাগজে সই করিয়ে নেয়। তারপর থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে রামচন্দ্র পাণ্ডার জামিন মঞ্জুর করা হয়। এখানেই থামেনি আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ বলে, রামচন্দ্র পাণ্ডা ও কাকলি পাণ্ডাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: এবার 'ভুয়ো' এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

কী বললেন রামচন্দ্র

জামিন পাওয়ার পরই  রামচন্দ্র পণ্ডা বলেন, তদন্তে বসিয়ে বাজে প্রশ্ন করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। রীতিমতো থ্রেট করে কাঁথি থানার আইসি বলেন,নবান্ন থেকে বড় অফিসাররা এসেছেন। সেই তিনজন অফিসার এসে বসে টেবিলে রিভলভার রাখেন, রিভলভার দেখিয়ে বলা হয় টাকা কোথায় না বললে ৮৭ টা কেস দেওয়া হবে। ৮৭ টা কেসে ৭ দিন করে জেল খাটানো হবে বলেও শাঁসানো হয়েছে। এরকম কিছু ঘটেনি, অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন কাঁথির এসডিপিও। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles