মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাংসদদের। তার পরেই টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার ধর্নায় বসলেন বিজেপি (BJP) বিরোধী দলের সাংসদরা। অধিবেশনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদও ছিলেন ধর্নায়। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের (TMC) সাত জন, ডিএমকের ৬ জন, টিআরএসের তিন জন, সিপিএমের দুজন এবং সিপিআই ও আপের একজন করে সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের চার সাংসদকে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেছেন বিরোধীরা। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্নায় বসবেন সাংসদরা। মহিলা এবং প্রবীণ সাংসদরা শিফট ওয়াইজ যোগ দেবেন ধর্নায়।
আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, আচরণ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা চাইলে তবেই সাপসেনশন তুলে নেওয়া হবে। এদিকে, সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে।সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রণকৌশল স্থির করতে এদিন বৈঠকেও বসেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টির কেউ অবশ্য যোগ দেননি ওই বৈঠকে।
আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র
খাড়্গের অভিযোগ, সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি নয়। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জোশী বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে সরকার রাজি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। ফের অফিস আসা শুরু করেছেন। বিরোধীরা চাইলেই আমরা আলোচনা শুরু করতে রাজি। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে রাজ্যসভায় এক সঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসেপন্ড করা হয়নি। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা ধর্নায় বসেছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।
+ There are no comments
Add yours