মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। এরপরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দারস্থ হন। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলাটি ঝাড়খণ্ডের হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, হেমন্তর মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে। এছাড়াও ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। হেমন্তের (Hemant Soren) আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বাল। তিনি এদিন সুপ্রিম কোর্টের সওয়াল করেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হেমন্ত সোরেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই আমরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি।
কী বললেন বিচারপতি?
এ নিয়ে পাল্টা বিচারপতি খান্না বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে তো কী হয়েছে? আদালতের কাছে সবাই সমান। আজ আপনাকে কোনও সুবিধা দিলে আগামিকাল সবাইকে দিতে হবে। এটা তো হয় না। কেন আপনারা হাইকোর্টে আবেদন না করে সুপ্রিম কোর্টে আসবেন? নতুন করে আবার হাইকোর্টে আবেদন করুন।’’
বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে হেমন্ত
প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। হেমন্ত ছিলেন মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী।
শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন
এদিকে, হেমন্ত ইস্তফা দেওয়ায় শুক্রবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা তথা দলের সহ সভাপতি চম্পাই সোরেন। এদিন রাঁচির রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম এবং লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সত্যানন্দ ভোগতা। দুজনই হেমন্তের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে চম্পইকে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণ বৃহস্পতিবারই চম্পইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours