মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলা সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ভাইফোঁটা উৎসব। বুধবার এই তপন ব্লকের আউটিনা গ্রামে ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আদিবাসী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ভাইফোঁটা দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন সুকান্ত'র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিশিষ্টজন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা নিজের রীতি রেওয়াজ মেনেই সুকান্তকে ফোঁটা দেন। শুধুমাত্র ফোঁটা দেওয়া নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন গ্রামের বোনেরা।
আদিবাসী মহিলাদের কাছে ভাইফোঁটা পেয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আদিবাসী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে আউটিনা গ্রামে ভাইফোঁটার এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। আমি আমন্ত্রিত হয়ে আনন্দিত বোধ করছি। আমার নিজের বোন না থাকার জন্য সেভাবে বাড়িতে ভাই ফোঁটার রেওয়াজ ছিল না। এই গোটা অঞ্চলের আদিবাসী ও অন্যান্য মহিলারা যেভাবে আমাকে ভাইফোঁটা দিলেন ও সম্মান দিলেন, সেটা সত্যিই বিরল। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় চেষ্টা করব তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর।
সারের কালোবাজারি রুখতে কেন্দ্রীয় টিম দিয়ে তদন্তের দাবি সুকান্তর
সারের কালোবাজারি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে বিশেষ করে ১০: ২৬:২৬ এর দাম ১৪৭০ টাকা। সেই সার ২৫০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য সরকার বেশ কিছুদিন চোখ বন্ধ করে থাকার পর তার কিছু দফতর হঠাৎ করে অভিযানে নামল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই কালোবাজারিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। কোথাও ১৪০০ টাকার জিনিস ১৮০০ টাকায় নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কালোবাজারির কারণে কৃষকদের জীবন ওষ্ঠাগত। একদিকে নরেন্দ্র মোদি ইউরিয়া বস্তাতে আড়াই হাজার টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে, অন্য দিকে সেই সার যখন সাধারণ কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তখন এভাবে কালোবাজারি হচ্ছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। কৃষকদের অবস্থা এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে খারাপ। এই কালোবাজারি কৃষকদের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। সে কারণে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে তদন্ত করা হোক। আমরা শুনতে পাচ্ছি, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু এখনও এফআইআর করেছে কি না সেটা দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
জয়নগর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)
জয়নগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জয়নগরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। দুই দলের মারামারি চলছে। গোলাগুলি চলছে। ওখানে বিজেপি নেই। বিজেপির নামের দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়েছিল। ওখানে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। কিছু বামফ্রন্টের লোক রয়েছে অথবা আগে বামফ্রন্ট করত। স্বাভাবিক ভাবেই বামফ্রন্টের নেতারা গিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন খুন হলেন, পুলিশ তো তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী, নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তৃণমূল সমর্থকদের পুলিশের উপর ভরসা নেই। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না। তার পুলিশকে ভরসা করে না। আমাদের জেলাস্তরে নেতারা যোগাযোগ রাখছেন। ওখানকার স্থানীয় লোকজন চাইলে অবশ্যই সেখানে যাব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours