মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের মতো কলকাতাতেও এবার আকাশপথেই ড্রোনে করে পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা এবং রিপোর্ট এমনকি রেস্তোরাঁর খাবারও। প্রাথমিকভাবে ১৫টি কেন্দ্র থেকে ১৪টি রুটে ড্রোন পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে কলকাতা ও হাওড়ার ১৪টি স্থানে ড্রোনে ওষুধ, ল্যাব নমুনা ও রিপোর্ট ও খাবার ডেলিভারি করা হবে। এর জন্য এগিয়ে এসেছে দিল্লির এক স্টার্ট-আপ সংস্থা টিএসএডব্লু টেকনিট স্পেস অ্যান্ড অ্যারো ওয়ার্কস (TSAW Technit Space and Aero Works)।
কেমন হবে পরিষেবা
সপ্তাহখানেক আগেই ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। হাওড়ার কদমতলা থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত একটি ড্রোন পাঠায় দিল্লির সংস্থা। মালবাহী ড্রোনের বাক্সে ভরা ছিল প্যাথলজিকাল ল্যাবের সংগ্রহ করা নমুনা। গাড়ি বা মোটরসাইকেলে সাধারণত এমন নমুনা পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে সড়কপথে দূরত্ব পড়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সময় লাগে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা। সেখানে ড্রোনে সরাসরি আকাশপথে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। স্রেফ ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করে মালবাহী ড্রোন। নির্বিঘ্নে পৌঁছে যায় নমুনা। শুধু তাই নয়। রিপোর্ট নিয়ে ফের হাওড়া কদমতলায় ফিরেও আসে। ১৫ মিনিটেই।
আপাতত কলকাতায় ৬০ মিটার এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার উচ্চতায় ড্রোন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে এটিসি। শুধুমাত্র ড্রোন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। ড্রোন ওড়ানোর সময় আগে থেকে তাদের জানাতে হবে। বিমান চলাচলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাঁরা সময় ও রুট স্থির করে দেবেন। তবে ফোর্ট উইলিয়াম, নবান্নের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে নো ফ্লাইয়িং জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একজন ব্যক্তি বা কোনও এক চিন্তাধারা দেশকে গড়তে বা ভাঙতে পারে না’’, বললেন ভাগবত
রাজ্যের সব প্রান্তেই পরিষেবা!
টিএসএডব্লু-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিত শর্মা জানিয়েছেন, “শুধুমাত্র ওষুধ সরবরাহের জন্য একটি নির্দিষ্ট ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কলকাতা এবং হাওড়ার তীব্র যানজটের কথা মাথায় রেখেই আমরা আকাশপথে ওষুধ সরবরাহের সুবিধার কথা ভেবেছি।” প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবা হাওড়া থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। এর জন্য ইতিমধ্যেই আরও আটটি জায়গা চিহ্নিত করেছে তারা।অর্পিত শর্মা বলেছেন, “একমাসের মধ্যেই আমরা দক্ষিণ কলকাতার কালিকাপুরে ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস চালু করব। আমরা মূলত ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা। ড্রোন মারফৎ ওষুধ সরবরাহের এই পরিষেবা সফল হলে আগামী দিনে এফএমসিজি (ভোগ্যপণ্য) এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রেও ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পারি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি একটি উচ্চ-পাল্লার ড্রোন চালু করব, যা কাছের শহরগুলি পর্যন্ত পরিষেবা দিতে পারবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours