মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) জামিনের বিরোধিতা করায় আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার আলিপুর সেশন কোর্টের বিচারপতির কাছে জামিনের আবেদন করেন শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী।
সওয়াল-জবাব
এদিন, আদালতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই হেফাজতে ২৫৯ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন শান্তিপ্রসাদ। যদি নতুন করে তাঁকে হেফাজতেই নেওয়ার প্রয়োজন থেকে থাকে, তবে সে কথা গত ২৫৯ দিনে কেন মনে পড়েনি সিবিআইয়ের। আইনজীবী এই প্রশ্ন করার পরে বিচারকও সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রশ্নটির জবাব দিতে। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বা আইনজীবী এর স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, 'যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই পর্যায়ে জামিন পেলে তদন্ত (SSC Scam) নষ্ট হবে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ সিবিআইয়ের বক্তব্য, এসপি সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র দিয়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছেন।
সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতির
বিচারক রানা দাম এরপরই প্রশ্ন করেন,সিবিআই কেন একই কথা টেপ রেকর্ডারের মতো বার বার বলে চলেছে? অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হলে কী হতে পারে বলে আশঙ্কা সিবিআইয়ের? তারা কী নাচবেন? এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতির রাশ অনেকটাই তাঁর হাতে ছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘তিনমাস আগে চার্জশিট পেশ হয়েছে। অথচ এই ব্যক্তির ভূমিকা বুঝতে এতদিন লেগে গেল? সবই তো ভিতরে ভিতরে সম্পর্কযুক্ত। বলবেন না আপনারা জানতেন না।’একইসঙ্গে এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা বলছেন তদন্তে প্রভাব পড়বে। কী প্রভাব পড়বে যদি জামিন দিই? অন্য কেসে তো জেলে আছেন। এই কেসে কেন দরকার? নতুন কিছুই তো বলার মতো নেই। একই কথা বলছেন। ডিসেম্বরে চার্জশিট দিয়েছেন আর মার্চ মাসে হেফাজতে চাইছেন?’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নীলাদ্রি দাস বানিয়েছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও! জানুন রেট
প্রসঙ্গত, আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই, শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে এসএসসি’র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির (SSC Scam) পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও ষড়যন্ত্রমাফিক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours