মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই এখন সমস্ত রাজ্যবাসীদের জিজ্ঞাস্য, কীভাবে সেই টাকা পৌঁছে গেল বাংলাদেশে? কারই বা হাত রয়েছে এর পেছনে? পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতারিতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। এরপর আদালতে পেশ করা হলে মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে এরই পাশাপাশি আটক করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তদন্ত চলাকালীন অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। এই মুহুর্তে আরও একটি বড় খবর উঠে এসেছে শিরোনামে। এবারে বড়সড় তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তাঁরা জানিয়েছেন, এ রাজ্যের দুর্নীতির টাকা পৌঁছে গিয়েছে প্রতিবেশি রাজ্যে।
আরও পড়ুন: এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত
দুর্নীতির টাকা প্রতিবেশী রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ২টি টেক্সটাইল সংস্থাকে সন্দেহ করেছে ইডি। তাই এখন ইডির নজরে টেক্সটাইল সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আশঙ্কা, সংস্থাগুলো হাওয়ালার মাধ্যমেই বিপুল টাকা প্রতিবেশি দেশে পাঠিয়েছে। দুই টেক্সটাইল সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে খবর। একটি সংস্থার মডেল হিসাবেও কাজ করেছিলেন অর্পিতা। এমনটাই উঠে এসেছে নতুন তথ্যে। ফলে ইডির তরফে এই সংস্থাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা ২৭ ঘণ্টা জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতাকে। রবিবারে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাঁকে টাকা কার এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কশালে আনতেই জিজ্ঞাসা 'টাকা কার?' নিরুত্তর পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা
+ There are no comments
Add yours