মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে 'সন্দেশখালির ত্রাস' শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি, এলাকায় অত্যাচারের অভিযোগের পাশাপাশি এ বার শাহজাহানের নতুন কীর্তি প্রকাশ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, শাহজাহান কয়লার কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগ (Sheikh Shahjahan)
ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শাহজাহান বেআইনি ভাবে কয়লা থেকেও তোলা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। কয়লার জোগানে শাহজাহান এবং তাঁর দলবলকে টাকা দিতে হত। কর হিসাবেই ওই টাকা তাঁরা নিতেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও শাহজাহান শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার, শেখ সাবিনা মাছের আড়তের মাধ্যমেও দুর্নীতি করেছেন বলে ইডির (ED) অভিযোগ। মার্কেট থেকে কমিশন এবং ভাড়া বাবদ টাকা তুলতেন তিনি। এ ছাড়াও অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ইটভাটার দুর্নীতি। ইডির চার্জশিটেও তার উল্লেখ আছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া, জমি সংক্রান্ত যে কোনও লেনদেনের ক্ষেত্রেও শাহজাহানেরা টাকা তুলতেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। সম্প্রতি এলাকায় তদন্তে গিয়ে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তার সাগরেদদের আরও সম্পত্তির খবর জানতে পারে তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থার কাছে কয়েকজন অভিযোগও জমা করেছিল। এবার তদন্তে নেমে সে বিষয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করল ইডি (ED)।
আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়
শাহজাহানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল
বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই আদালতে ইডির তরফে নতুন করে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হল। ইডির দাবি, জমি-ভেড়ি দখল, জোর করে টাকা আদায়-সহ বিভিন্নভাবে সন্দেশখালিতে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল শাহজাহান, তার ভাই এসকে আলমগীর, শিব প্রসাদ হাজরা এবং দিদার বক্স মোল্লা। এর আগে গত ২৭ মে আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছিল, জমি দখল এবং তোলাবাজি করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তবে এই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তখনই জানিয়েছিলেন আধিকারিকরা। এদিন জমা দেওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থার (ED) দাবি, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮৮.২০ কোটি টাকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours