Suvendu Adhikari: “ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, আমাদের সাধারণ বিমান”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

জলপাইগুড়ির বিধ্বস্ত এলাকায় শুভেন্দু, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা
Untitled_design_-_2024-04-01T151333412
Untitled_design_-_2024-04-01T151333412

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ের পর বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পাশে থাকার বার্তা দেন। আর লোকসভা ভোটের মুখে রাতে তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জলপাইগুড়িতে পৌঁছে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

প্রায় ৮০০ বাড়ি ধ্বংস! (Suvendu Adhikari)

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে। কারণ, রাজনৈতিক কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা এই মুহূর্তে নির্বাচনী বিধির আওতায় পড়ছেন। তাই ইচ্ছা থাকলেও বিশেষ কিছু করতে পারবেন না। কাল থেকে ওখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী এবং জেলার কর্মীরা কাজ করছেন। নির্বাচনী বিধি মাথায় রেখে আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর দ্রুততার সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারের পাশাপাশি ত্রাণ কাজও চালিয়েছে। জলপাইগুড়িতে প্রায় ৮০০ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাড়িগুলি টিন দিয়ে তৈরি ছিল। এই সময়ে সরকারের উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কারণ, বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার আদর্শ আচরণবিধির আওতায় পড়ে না।

ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, আমাদের সাধারণ বিমান, তোপ শুভেন্দুর

জলপাইগুড়ির ঝড়ে প্রাণহানির খবর পেয়ে রবিবার রাতেই সেখানে পৌঁছে যান মমতা। মমতা রবিবার রাত সাড়ে ৯টার পর চার্টার্ড ফ্লাইটে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। আর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছেন সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ। অর্থাৎ, তাঁদের যাত্রার সময়ের ব্যবধান প্রায় ১৩ ঘণ্টা। এ প্রসঙ্গে সোমবার সকালে বিমানবন্দর থেকে শুভেন্দু বলেন, "ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। আমাদের সাধারণ বিমান, যখন সময় হবে, আমি যাব। মমতার দ্রুত যাওয়া নিয়ে নির্বাচনী বন্ডের প্রসঙ্গও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, "তৃণমূল তো নির্বাচনী বন্ড থেকে অনেক টাকা পেয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ডিয়ার লটারি দিয়েছে ৬০০কোটি টাকা। ভোররাতে, মাঝরাতে যখন খুশি চার্টার্ড ফ্লাইটে ওঁরা যেতে পারেন। তবে আমি তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, মাল নদীতে হড়পা বানের সময়ে যদি ওঁর এইতৎপরতা দেখতে পেতাম, তা হলে ভাল লাগত। তা হলেবুঝতাম আপনি রাজধর্ম করছেন, ভোটধর্ম করছেন না।”বাগডোগরায় নেমে শুভেন্দু আর এক প্রস্থ কটাক্ষ করেন মমতাকে। বলেন, "রাতে কী কাজ? ওঁর এত তাড়াহুড়ো করার কী ছিল? মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, হাসপাতালে যাওয়া- এগুলো তো উনি সকালেও করতে পারতেন, যেমন রাজ্যপাল করেছেন। দুর্গাপুজোর সময়ে মালবাজারে যা হল, তখন উনি কোথায় ছিলেন?”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles