Shinzo Abe: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

১৯৫৭ সালে দিল্লিতে এসেছিলেন শিনজোর দাদু জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশি। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। সম্পর্কের সূচনা তখন থেকেই।
narendra-modi-and-shinzo-ab-1657283424
narendra-modi-and-shinzo-ab-1657283424

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের ‘কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের অন্যতম স্থপতি ছিলেন শিনজো আবে (Shinzo Abe)।  শুক্রবার আততায়ীর গুলিতে নিহত হন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সংসদীয় নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে  পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ  হন তিনি। জাপানের সঙ্গে সঙ্গে শোকের ছায়া নামে ভারতেও। বন্ধু হারানোর যন্ত্রণা ধরা পড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) গলায়। মোদি ও আবের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা। বলা হয়, এই দুই রাষ্ট্রনেতার প্রচেষ্টার ফলেই প্যাসিফিকে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সবল অবস্থান তৈরি হয়েছে। ২০১৫ সালে শিনজোকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে নিয়ে আসেন মোদি। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি বসে গঙ্গারতি দেখেন। দু’ বছর পর, ২০১৭ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আমদাবাদ যান। সেখানে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আবে। ২০১৮ সালে জাপান সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে নিজের একটি বাড়িতে মোদিকে রেখেছিলেন শিনজো। ২০২১ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময়েও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল শিনজোর। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে এ দেশে প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। তার আগে ২০০৭ সালে সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন আবে। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মা-বাবার সঙ্গেও ভারতের মধুর সম্পর্ক ছিল। ১৯৫৭ সালে দিল্লিতে এসেছিলেন জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজোর দাদু নোবুসুকে কিশি। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। 

আরও পড়ুন: জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষ! নিহত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

যুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৮ বছর ও তারও আগে ২০০৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০২০-এর অগাস্টে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন আবে। দেশে তাঁর দারিদ্র দূরীকরণ নীতি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম জাপানের সমরনীতিতেও পরিবর্তন এনেছিলেন আবে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Indo-Pacific Region) এলাকায় চিনের (China) একক আধিপত্য খর্ব করতে চতুর্দেশীয় কোয়াড (Quad) গঠনের মূল  উদ্যোক্তা ছিলেন আবে-ই। ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এই কোয়াড গঠন আবের অন্যতম সেরা কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হয়। শুধু তা-ই নয়, এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব বুঝতে কোনওদিন ভুল করেননি তিনি। ভারতের সঙ্গে তাঁর সরকারের সম্পর্ক সব সময়েই ভাল ছিল। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles