Coal Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে  ৭ ইসিএল আধিকারিক

সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে অভিযুক্তদের। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ধৃতদের মদতেই কয়লা কেলেঙ্কারি ঘটে।
coal
coal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার-কাণ্ডে ধৃত ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড (ECL)-এর সাত জন বর্তমান ও প্রাক্তন কর্তাকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা শেষে গ্রেফতার করা হয় সাত কর্তাকে। যাদের মধ্যে বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদা'র বেশ কয়েকজন রয়েছেন আবার রয়েছেন দুইজন সিকিউরিটি ম্যানেজারও। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। সেখানে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানান তদন্তকারীরা। 

আরও পড়ুন: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযুক্তদের। পাশাপাশি, তাঁদের অর্থ লেনদেনের বিভিন্ন তথ্য সিবিআই এর হাতে এসেছে। সরকারি আধিকারিকও হয়েও অভিযুক্তেরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার যথেষ্ট চেষ্টা করেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি। বরং নিজেদের পদে থেকে বিভিন্ন ভাবে ব্যক্তিগত লাভের বিনিময়ে কয়লা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের সাহায্য করেছেন তাঁরা। তদন্তকারীদের কথায়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ধৃতদের মদতেই কয়লা কেলেঙ্কারি ঘটে। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকাও লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন: এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

উল্লেখ্য, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান ইসিএল আধিকারিক এসসি মৈত্র। রয়েছেন, ইসিএলের তিন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত ব্যানার্জি, অভিজিৎ মল্লিক এবং তন্ময় দাস। তন্ময় দাস আগে ইসিএলের প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক ছিলেন। এ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপত্তা আধিকারিক ম্যানেজার মুকেশ কুমার, নিরাপত্তা আধিকারিক রিঙ্কু বেহেরা ও দেবাশিস মুখোপাধ্যায়কে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেন, তাঁদের মক্কেলদের হিসাব বহির্ভূত কোনো সম্পত্তি বা অর্থের হদিস সিবিআই পায়নি। ধৃত তন্ময় দাসের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত চিঠি দিয়েছেন। সিআইএসএফ আধিকারিকদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন। অর্থাৎ যা যা করণীয় সবই করেছেন। সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে সিবিআইয়ের দাবি, তাঁরা প্রমাণ হাতে নিয়েই সব কাজ করছেন।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles