মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিমতার দক্ষিণ গোলবাগানের বাসিন্দা বছর ২৩ এর শুভ্রজ্যোতি দাস আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া। এই জুনিয়র চিকিৎসকের (Medical student death) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কাকা জানিয়েছেন, শুভ্রজ্যোতি মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলো। পরিবারে শোকের ছায়া।
কীভাবে মৃত্যু (Medical student death)?
মানসিক অবসাদে ভোগা এই জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যুকে (Medical student death) কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার শেষবারের মতো পরিবারের লোকেরা তাকে দেখতে পান। এরপর বুধবার তার আর কোন খোঁজ পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকেরা জুনিয়র ডাক্তারের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানার ওপরে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
পরিবারের দাবি
পরিবারের কাকা স্বপন দাস বলেন যে মেধাবী ছাত্র শুভ্রজ্যোতি ডাক্তারিতে প্রবেশ পাওয়ার পর থেকেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলো। করোনার পর থেকেই তা বাড়তে থাকে এবং এক প্রকার মানসিক অবসাদে চলে যায় সে। বাড়িতে কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলত না। নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত সে। এর জন্যই কেউ তাকে বিরক্ত করত না। বুধবার তার কোনও খোঁজ না মেলায়, বৃহস্পতিবার সকালবেলা পরিবারের তরফে তার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে বাড়ির লোক সফল না হলেও দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ঘরে প্রবেশ করেন এবং তারপরে তাঁরা শুভ্রজ্যোতিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু (Medical student death) হয়। এই ঘটনায় তার পরিবার শোকেমগ্ন।
মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
কী কারণে জুনিয়ার ডাক্তারের মৃত্যু (Medical student death) হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সে কি অত্যধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খেয়েছে কি না! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তা পরিষ্কার হবে। পরিবারের সূত্রে দাবি, অবসাদ কাটানোর উপায় এবং ডাক্তারি ক্ষেত্রে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়? তা নিয়ে সে নেটে সার্চ করত সে। বেশ কয়েকবার পরিবারের লোক শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে এমনই তথ্য পেয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours