মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে শনিবার ব্যাপক হিংসা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। সন্ত্রাসের বলি হন একদিনে ১৫ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের বুথে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলল বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকেও। ভোট ঘোষণা থেকে একে একে ঝরে পড়েছে তিরিশের ওপর তাজা প্রাণ, জেলায় জেলায় লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে।
কী বললেন সুকান্ত?
সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শনিবার বলেন “কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই এখনই। সেটা ৩৫৫ হতে পারে, ৩৫৬ হতে পারে। কোনটা হবে, সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক। জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছি।” সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৫৫ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে, কেন্দ্রের হাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব চলে যায়। আর ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, রাজ্য প্রশাসন চালাতে অক্ষম হলে, পুরো প্রশাসনিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে চলে যায়।
শনিবার সকাল থেকেই হিংসা ছড়ায় রাজ্যে
শনিবার সকাল থেকেই নির্বাচন-সন্ত্রাসের খবর সামনে আসতে থাকে। বোমাবাজি, গুলিচালনা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই চলতেই থাকে। পঞ্চায়েত ভোটে এক দিনে মৃতের সংখ্যা পৌঁছায় ১৭-তে। শনিবার দুপুরের পর থেকে, কিছুটা সময় এমনও ছিল যখন প্রতি মিনিটে একটা করে লাশ পড়তে থাকে। রাজ্যের অজস্র স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন না করে শুধুই সিভিক দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার দুপুরেই অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন। শুভেন্দু বলেন, “আমি একটা কারণে, একটা লক্ষ্য নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এসেছি। সেই লক্ষ্যে আমাকে যা করতে হয় করব। পতাকা ধরে কিংবা পতাকা ছেড়ে, টু সেভ ডেমোক্র্যাসি, আমাকে যা করতে হয় করব।” তাঁর আরও সংযোজন, দুটি পথ খোলা। এক, ‘কালীঘাট চলো’, দ্বিতীয়ত ‘৩৫৬ কিংবা ৩৫৫ ধারা।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours