H3N2 Virus: মার্চের শেষ থেকেই প্রকোপ কমতে পারে জ্বর-সর্দি-কাশির, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের কোমর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি এই ইনফ্লুয়েঞ্জার শিকার হচ্ছেন।
hongkong_flu
hongkong_flu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হলেও দেশ জুড়ে রয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জার আতঙ্ক। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশ্বাস, চলতি মাসের শেষে দিকে প্রকোপ কমতে পারে জ্বর, সর্দি, কাশির।  গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাপট দেখাচ্ছে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মোদি সরকার। এই ইনফ্লুয়েঞ্জায় শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) দুই উপপ্রজাতি H3N2 ও H3N1 প্রতি বছরই থাবা বসায়। মরশুমি জ্বরে আক্রান্ত হয় বহুমানুষ। এ বছরও তাই হয়েছে। মার্চের শেষ থেকেই ভাইরাসের উপদ্রব কমে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইনফ্লুয়েঞ্জার হানায় কর্নাটক ও হরিয়ানায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার এই সাবটাইপ সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। পাখি ও অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণিদের শরীরেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। বহুবার জিনের বদল ঘটাতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের কোমর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি এই ইনফ্লুয়েঞ্জার শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, "IDSP-র মাধ্যমে দেশের কে কোথায় ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁর বিস্তারিত তথ্য জমা রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন মতো রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দেওয়া হবে।" তবে এখন পর্যন্ত এই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দেখা যায়নি বলে খবর মিলেছে।

আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে নাইসেডের সমীক্ষা! অ্যাডিনো সংক্রমণে শীর্ষে বাংলা

স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, জ্বর, কাশি, শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। অন্তত মাস দুয়েক থাকছে উপসর্গ। এই ভাইরাসের সংক্রমণে যে জ্বর হচ্ছে তার নাম হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর (fever) হলেই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। ডাক্তারকে না জিজ্ঞেস করে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিকও খাবেন না। জ্বর (fever) আসার দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে বেসিক রক্তপরীক্ষাগুলি করান। জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপরীক্ষা করালে সমস্ত রিপোর্টই নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা বেশি৷ ‘বেসিক পরীক্ষা’ মানে আগে রুটিন ব্লাড কাউন্ট দেখা দরকার৷ তা থেকেও বোঝা যায় কী কারণে জ্বর হয়েছে। 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles