মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুদ্ধ গয়ায় (Bodh Gaya Temple) মহাবোধি মন্দিরের নিচে এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলের মাটিতে চাপা পড়ে আছে বহু মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ- এমনটাই উঠে এসেছে কৃত্রিম উপগ্রহের (Satellite Images) ছবি ও সমীক্ষাতে। বিহার হেরিটেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির একটি শাখা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই গবেষণাটি করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বুদ্ধ গয়ার (Bodh Gaya Temple) মহাবোধি মন্দির বর্তমানে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেয়েছে। ভগবান গৌতম বুদ্ধের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত এই উল্লেখযোগ্য স্থান। এখানে ভগবান গৌতম বুদ্ধ, বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি করেন বলেন জানা যায়।
বিহার সরকারের আধিকারিক কী বলছেন?
বিহার সরকারের সংস্কৃতি ও যুব দফতরের অতিরিক্ত সচিব হারজোত কৌর বামরাহ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘গবেষণার মাধ্যমে বুদ্ধ গয়ার নিচে প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদের প্রমাণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এটা একটি বিশাল সম্পদ। আরও খননের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’’ অন্যদিকে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির সদস্য এমবি রজনী তিনিও এই গবেষণার টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি মন্দির এবং আশেপাশের অঞ্চলের স্যাটেলাইট চিত্রগুলিকে (Satellite Images) অধ্যয়ন করেন। হিউয়েন সাং-এর যে বিবরণী তার সঙ্গে এগুলিকে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন এই গবেষক। প্রসঙ্গত, চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বুদ্ধ গয়া পরিভ্রমণ করে তার ওপরে বিবরণী লেখেন।
বুদ্ধ গয়ায় (Bodh Gaya Temple) অবস্থিত মহাবোধি মন্দিরটি ৫০ মিটার উঁচু
বুদ্ধ গয়ায় অবস্থিত মহাবোধি মন্দিরটি ৫০ মিটার উঁচু। এখানেই রয়েছে পবিত্র বোধি বৃক্ষ। মনে করা হয় এই বৃক্ষের নিচে বসেই বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি হয়েছিল ভগবান গৌতম বুদ্ধের। অসংখ্য প্রাচীন স্তুপ দ্বারা বেষ্টিত এই স্থান বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় সরকারের তরফ থেকেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্যাটেলাইটে (Satellite Images) যে ছবিগুলি ধরা পড়েছে সেগুলি প্রত্যেকটি নীরাঞ্জনা নদীটির পূর্ব থেকে পশ্চিমে স্থানান্তর দেখায়। এই নীরাঞ্জনা নদীর ধারেই বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি ঘটে গৌতম বুদ্ধের (Bodh Gaya Temple)। জানা যায়, সুজাতা স্তূপ সমেত অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষগুলি নদীর পূর্ব দিকে অবস্থিত কিন্তু স্যাটেলাইট চিত্রের বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে মন্দির, সুজাতা স্তূপ এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষের প্রত্যেকটি অতীতে নদীর একই তীরে অবস্থিত ছিল। একথা জানিয়েছেন, বিহারের সংস্কৃত ও যুব দফতরের অতিরিক্ত সচিব বামরাহ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours